বিজটেক ডেস্ক: ঈদ আসার আগেই পাঠাও রাইডার/ক্যাপ্টেনরা যাত্রী ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। আজকে সন্ধ্যা ৭ঃ৩০ টা থেকে ৯ঃ২০ পর্যন্ত প্রায় ২ ঘন্টার পাঠাও এ রাইডের অনুসন্ধান করেছি, কেউ যেতে রাজি হচ্ছেনা। ২/১ সপ্তাহ আগেও এমন ছিলোনা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এর পর থেকে তারা অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করছে। ফোন দিলেই লোকেশন জিজ্ঞেস করে তারপর বলে ওদিকে যাবোনা। কন্টাকে যাবো, ভাড়া বাড়ায়া দিয়েন ইত্যাদি। তাই আজকে সময় নিয়ে তাদের কল রেকর্ড করলাম, বেশীরভাগ ড্রাইভার অদক্ষ, ঠিক মত ম্যাপও বুঝেনা। আর বেশীরভাগ রাইডার আজকে ৪/৫ বার এক্সেপ্ট করে যা খুবই বিরক্তিকর। পাঠাও রাইডারদেরকে কয়েক ঘন্টা/দিনের জন্য মিউটের সুবিধা দিলে এই সমস্যা থেকে বাঁচা যেতো।
আজকে একাধিক আইডি থেকে ২ ঘন্টা রাইড খুঁজেও পেলাম না। গতদিনও এমন হয়েছিলো, এক রাইডার এক্সেপ্ট করে রাইড শুরু করে দেয়। তারপর ইন্ড রাইড দেয়, ৭০ টাকা ছাড়ে বিল আসে ১৬৫ টাকা, ছাড় ছিলো ৭০ টাকা, রাইডারকে এই ব্যাপারে ফোন করে বললে সে বলে ভুলে হয়ে গেছে। সেই প্রতারণার ফলে রাইডারের লাভ হয়েছিলো 235*20% = 47 (70-47)= 23 টাকা। রাইড না দিয়েই সে ২৩ টাকা লাভ করেছে, পাঠাও এ কম্পেইন করার পর অবশ্য ৭০ টাকা অফ পেয়েছি। পাঠাও এর সেবার মান ধীরে ধীরে খুবই কমে যাচ্ছে।
তাই আজকে সময় নিয়ে প্রায় ২০টির মতো কল রেকর্ড করেছি। মোবাইল কলে খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ টাকার মতো। ড্রাইভারেরা জ্যামের কথা বলে বাট ট্রাস্ট মি আজ তেমন কোন জ্যাম ছিলোনা। গুগল ম্যাপ চেক করতে পারেন, তারপর বাসার নিচ থেকে সিএনজি নিয়ে ২০০ টাকায় ২৫ মিনিটের কম সময়ে বাসায় চলে আসি। সবাই সিএনজিকে খারাপ বললেও বিপদের আসল বন্ধু তারাই। ড্রাইভারদের এভাবে লাগামহীন ভাবে ছেড়ে দিলে পাঠাওয়ের মার্কেট হারাতে খুব বেশী সময় লাগবে না।
-ফেসবুক থেকে নেয়া