ঢাকা     ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ||  ৩০ মাঘ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

ঢাকায় নামবে ৫০০ ই-বাস, অর্থায়নে বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত: ১২:৫২, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ঢাকায় নামবে ৫০০ ই-বাস, অর্থায়নে বিশ্বব্যাংক

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে রাজধানী ঢাকা শহরে নামানো হবে ৫০০ বিদ্যুচ্চালিত বাস (ই-বাস)। কোম্পানিভিত্তিক ফ্র্যাঞ্চাইজি মডেলে পরিচালনা করা হবে বাসগুলো। বাস সংগ্রহ, আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণের এসব কাজ ‘‌বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রজেক্ট’-এর মাধ্যমে করা হবে। 

এ প্রকল্পের আওতায় পরিবহন খাতে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) অনুকূলে ১৫০ থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক।

গতকাল (মঙ্গলবার) ডিটিসিএর কার্যালয়ে প্রস্তাবিত প্রকল্পটির ওপর অনুষ্ঠিত এক অংশীজন সভায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সভায় বিশ্বব্যাংকের উপস্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয়, প্রকল্পটির মাধ্যমে ৫০০টি ই-বাস সংগ্রহ করা হবে, যেগুলোর ব্যাটারি সক্ষমতা থাকবে ২৭৫-৩০০ কিলোওয়াটের মধ্যে। একই প্রকল্পের মাধ্যমে চালক ও পরিবহন রক্ষণাবেক্ষণকারী কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ১ জুলাই ২০২৫ থেকে ৩০ জুন ২০৩০ পর্যন্ত। বাস সংগ্রহ, ডিপো নির্মাণ, আইটিএস ও বাস পরিষেবা পুনর্গঠনের কাজে ১১০-১৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। আর বিআরটিএর জন্য ভেহিকল ইন্সপেকশন সেন্টার স্থাপনে ব্যয় হবে ৪০-৫০ মিলিয়ন ডলার।

এছাড়াও প্রকল্পটির মাধ্যমে বাস পরিষেবা আধুনিকায়নের জন্য একটি কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। এ কর্মসূচির আওতায় ইলেকট্রনিক ভাড়া আদায় ব্যবস্থা, যাত্রী তথ্য ব্যবস্থাপনা, ওয়েবসাইট ও অ্যাপ নির্মাণ, ডাটা সেন্টার, অপারেশনস কন্ট্রোল সেন্টার গড়ে তোলার কাজ সম্পন্ন হবে।

ঢাকা মহানগরে পরিবহন খাত থেকে কার্বন নিঃসরণ কমানো ও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনা প্রকল্পটির প্রধান উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন ডিটিসিএর কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা, পরিবেশ দূষণ রোধ ও বায়ুমান উন্নয়ন, গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনয়ন, সবার জন্য প্রবেশগম্য গণপরিবহন সম্প্রসারণ, যানজট প্রশমন, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা করবে। ‌

প্রকল্পের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে সিটি বাস সার্ভিস ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন পরিকল্পনা, ইলেকট্রিক বাস ক্রয় (বিভিন্ন মোডালিটি ও অন্যান্য অর্থায়নের ওপর ভিত্তি করে সম্ভাব্য ২৫০-৫০০টি), পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা, নতুন বাস ডিপো স্থাপন ও বিদ্যমান ডিপোর অবকাঠামো উন্নয়ন (সম্ভাব্য ১০টি), বাস স্টপেজ নির্মাণ ও উন্নয়ন, ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস) স্থাপন এবং কারিগরি সহায়তা, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নীতিমালা প্রণয়ন।

‌প্রকল্পটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি বলে একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার।