ঢাকা     ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  ২ পৌষ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার প্রভাব পুঁজিবাজারে

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৮:১১, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার প্রভাব পুঁজিবাজারে

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন নির্দেশনা দেয়ার পর বৃহস্পতিবার দেশের শেয়ারবাজরে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া ৬৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দর পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, শেয়ারবাজারে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে নির্দেশনা দিয়েছে তা বাজারের জন্য সম্পূর্ণ নেতিবাচক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নির্দেশনার ফলে শেয়ারবাজারে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সংকুচিত হবে।

দীর্ঘদিন ধরেই শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের দাবি ছিল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এক্সপোজার বা বিনিয়োগ বাজারমূল্যের পরিবর্তে ক্রয়মূল্যে গণনা করা। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনাতেও বিনিয়োগ বাজারমূল্যে গণনার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে বন্ডের মতো ডেভ সিকিউরিটিজ, ডিবেঞ্চার, মিউচুয়াল ফান্ডকে বিনিয়োগ গণনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়ে গেছে।

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরুতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় থাকলেও দিন শেষে পতনের তালিকা ছিলো দীর্ঘ। দিনের শুরুতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু লেনদেনের সময় ১০ মিনিট না গড়াতেই বদলে যেতে থাকে চিত্র। দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান নাম লেখাতে থাকে পতনের তালিকায়। লেনদেনের সময় গাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে পতনের মাত্রা।

দিন শেষে ডিএসইতে মাত্র ৭৫টি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়লেও কমেছে ২৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। আর ৪৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। শতাংশের হিসাবে দাম ৬৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে মাত্র ২০ শতাংশের।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫২ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৯৯১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ২৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৫৭৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪ কোটি ৯৯ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ২১৩ কোটি ৬৪ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ২০৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ধারণ করা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সকল প্রকার শেয়ার, ডিবেঞ্চার, করপোরেট বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট এবং শেয়ারবাজারের অন্যান্য নিদর্শনপত্রের বাজারমূল্য বিবেচনায় নেয়া হবে। তবে নিজস্ব সাবসিডিয়ারি কোম্পানি বা কোম্পানিসমূহকে দেয়া ইকুয়িটি, দীর্ঘমেয়াদি ইকুয়িটি বিনিয়োগ/ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি (বিডি) ও স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর শেয়ার ওই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারবাজার বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হবে না।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়, শেয়ারবাজারে কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিয়োজিত অপর কোনো কোম্পানি বা কোম্পানিগুলোর অথবা কোনো স্টক ডিলারকে প্রদত্ত ঋণের স্থিতি ও তাদের সঙ্গে রক্ষিত তহবিলের স্থিতি (প্লেসমেন্ট বা অন্য যে নামেই অভিহিত করা হউক না কেন) বিনিয়োগসীমার বাইরে থাকবে।