গ্যাস ও বিদ্যুৎ খাতে চুরি ও অপচয় ঠেকাতে ভর্তুকি কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রাথমিকভাবে বাণিজ্যিক খাত বিশেষ করে যেখানে বড় বড় শিল্প কারখানা গড়ে উঠছে এসব স্থানে ধীরে ধীরে গ্যাস ও বিদ্যুতে ভর্তুকি কমানোর নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এনইসি সম্মেলন কক্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন।
‘৬১৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারিং প্রজেক্ট ইন ডিস্ট্রিবিউশন জোন অব বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড’ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী এসব নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে এম এ মান্নান বলেন, বড় বড় খাতে যারা বিদ্যুৎ ও গ্যাস ব্যবহার করেন তারা গরিব নয়। গুলশানে যারা বসবাস করেন তারা গরিব নয়। সেজন্য প্রাথমিকভাবে বড় বড় শিল্প খাতের গ্যাস ও বিদ্যুতে ভর্তুকি কমাতে বলেছেন। এছাড়া ভর্তুকি কমানোর কৌশল বের করতে বলেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ভর্তুকি কোনো সভ্য দেশের সমাধান নয়। তাই ধীরে ধীরে গ্যাস-বিদ্যুতের ভর্তুকি থেকে সরে আসতে হবে। তবে কৃষি ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য গ্যাস-বিদ্যুতে ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে। তবে বড়লোকদের জন্য ধীরে ধীরে ভর্তুকি উঠে যাবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, সব সরকারি হাসপাতালে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দিয়েছেন। বেসরকারি হাসপাতালেও একই বিষয়ে শৃঙ্খলা আনার তাগিদ দেন একনেক চেয়ারপার্সন।
ইতনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন- ফাইজ জি সেবা চালু করুন। পাশাপাশি ফোর জি সেবা শক্তিশালী করুন। এছাড়া দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট চালু করার উদ্যোগ দ্রুত নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী বলেছেন।
এছাড়াও সব নভোথিয়েটার তদারকির জন্য আলাদা সংস্থা করার জন্য তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আলাদা সংস্থার বিষয়ে সবার আগে যাচাইবাছাই করতে হবে, বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।