ঢাকা     ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ||  ২ মাঘ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

ইউনিলিভারে হতাশ বিনিয়োগকারীরা

প্রকাশিত: ২২:৩৭, ৫ মার্চ ২০২২

ইউনিলিভারে হতাশ বিনিয়োগকারীরা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেড ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণার পর বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়েছেন। যার বড় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার দামে। ফলে তিনদিনেই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম কমেছে ৩০৯ কোটি টাকা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, বহুজাতিক এই কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৪৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে ২০২০ সালেও কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৪৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

ইউনিলিভারের কাছে শেয়ার বিক্রির আগে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন ২০১৯ সালে বিনিয়োগকারীদের ৫৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। তার আগে ২০১৮ সালে ৫৩০ এবং ২০১৭ সালে ৫৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। অর্থাৎ নাম বদলের পর কোম্পানিটির লভ্যাংশের পরিমাণ প্রায় ১০০ শতাংশ কমে গেছে।

লভ্যাংশ কমার কারণে ১ মার্চ শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই ইউনিলিভার কনজ্যুমারের শেয়ার দাম এক'শ টাকার ওপরে কমে যায়। শেয়ারের দাম কমার ধরা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত। এমনকি পরের দুই কার্যদিবসেও কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমে।

এতে তিন দিনে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ২৫৭ টাকা। ফলে সম্মিলিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ৩০৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকার ওপরে। অথচ মোটা লভ্যাংশ পাওয়ার আশায় এক শ্রেণীর বিনিয়োগকারীরা কিছুদিন আগে কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এতে দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ৩৮৫ টাকা বেড়ে যায়।

এর আগে ২০২০ সালের লভ্যাংশকে কেন্দ্র করেও কোম্পানিটির শেয়ার দামে অস্বাভাবিক উত্থান-পতন হয়। গত বছর লভ্যাংশ ঘোষণার পরের কার্যদিবসে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম কমে ২৪৩ টাকা। এতে সম্মিলিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমে ২৯৩ কোটি ৯ লাখ টাকা। তার আগে লভ্যাংশ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ২ হাজার ৪৬ টাকা থেকে কয়েক দফা দাম বেড়ে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ৩ হাজার ৮৫৯ টাকা পর্যন্ত উঠে। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারের দাম বাড়ে ১ হাজার ৮১৩ টাকা।

হরলিকস, মালটোভা, গ্ল্যাক্সোজ-ডি, সেনসোডাইন’র মতো পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে দাপটের সঙ্গে ব্যবসা করা গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন ১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।