পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পদক্ষেপে অবশেষে ঘুরে দাঁড়াল দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৯৬ শতাংশেরই শেয়ারদর বেড়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচকে যোগ হয়েছে দেড় শতাধিক পয়েন্ট। একই সঙ্গে এদিন টাকার অংকে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণও আগের তুলনায় বেড়েছে।
পুঁজিবাজারে লাগামহীন দরপতন ঠেকাতে মঙ্গলবার দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দেয় বিএসইসি। নতুন নিয়ম অনুযায়ী শেয়ার দর সর্বোচ্চ কমতে পারবে ২ শতাংশ পর্যন্ত। আর শেয়ার দর সর্বোচ্চ বাড়তে পারবে ১০ শতাংশ।
বুধবার ডিএসইতে ৭৭৩ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা বেশি। গতকাল ডিএসইতে ৭৪৬ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ১৫৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৬৩০ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪২৯ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৪১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসইতে ৩৭৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৬৫টির, কমেছে ৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)ও সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ সিএসই সার্বিক সূচক সিএসপিআই ২৪ পয়েন্ট বেড়েছে। এদিন সিএসইতে ২৪ কোটি ৪৫ লাখ ১১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
