বিশ্বের অন্যতম বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি বাজারে ছাড়লো বাংলাদেশি ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য জায়ান্ট ওয়ালটন। যা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউটশন (বিএসটিআই) কর্তৃক ৫.৫ স্টার এনার্জি রেটিং প্রাপ্ত। ‘ইনভার্না’ সিরিজের ওয়ালটনের এই এসি শুধু বাংলাদেশই নয়, উপমহাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র। বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পরীক্ষায় দেখা গেছে ইকো মুডে ওয়ালটনের আল্ট্রা এনার্জি সেভিং ১ টনের এই এসি ব্যবহারে ঘন্টায় বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে মাত্র ২.১৯ টাকা।
উল্লেখ্য, স্টার রেটিং দ্বারা এসিসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের সক্ষমতা বোঝায়। যে পণ্যের স্টার রেটিং যতো বেশি, সে পণ্য ততো বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। বাংলাদেশে একমাত্র ওয়ালটন এসিতেই বিএসটিআই কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত ৩ বা ততোধিক স্টার রেটিং রয়েছে।
সোমবার রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট অফিসে ৫.৫ স্টার রেটিংয়ের আল্ট্রা এনার্জি সেভিং এসি উন্মোচন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র উদ্যোক্তা-পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, এমদাদুল হক সরকার ও হুমায়ূন কবীর, প্লাজা ট্রেডের সিইও মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন এসির চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) মোহাম্মদ তানভীর রহমান, চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ ফিরোজ আলম, চিফ রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরঅ্যান্ডআই) অফিসার তাপস কুমার মজুমদার, চিফ প্রোডাকশন অফিসার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান, ড. সাখাওয়াত হোসেন, আমিন খান, চিফ কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট অফিসার তাহসিনুল হক, এসির ডেপুটি সিবিও সন্দীপ বিশ্বাস, এসি আরঅ্যান্ডআই বিভাগের প্রধান আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
জানা গেছে, দেশে সাম্প্রতিক সময়ে যে পরিমাণ এসি বিক্রি হয়, তাতে ওয়ালটনের ৫.৫ স্টার রেটিংয়ের এসি ব্যবহৃত হলে বছরে ৭২ কোটির বেশি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে, অর্থমূল্য বিবেচনায় যা ৩৭৭ কোটি টাকারও বেশি। এতে প্রায় ৩ লাখ টন কার্বন নিঃসরণ হ্রাস পাবে।
এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য উৎপাদনে দক্ষ ও মেধাবী প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে ওয়ালটনের রয়েছে শক্তিশালী রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন টিম। তাদের নিয়মিত গবেষণা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ওয়ালটন এসি নিজের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ফলে এসিকে এখন আর বিলাসী পণ্য বলার সুযোগ নেই। বরং সাশ্রয়ী মূল্য এবং কম বিদ্যুৎ খরচ বিবেচনায় বর্তমানে এটি সব শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পণ্য হয়ে উঠেছে।
ওয়ালটন এসির সিবিও তানভীর রহমান বলেন, আমরা গত বছরের আগস্টেই বিএসটিআই থেকে ৫.৫ স্টার এনার্জি রেটিংয়ের স্বীকৃতি পেয়েছি। কিন্তু দীর্ঘ সময় নিয়ে সাসটেইনেবেলিটি পরীক্ষা করে এ প্রযুক্তির এসি বাজারে ছাড়লাম। এমন একটি দিনে আমরা ক্রেতাদেরকে বিশ্বের অন্যতম বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এসি দিলাম, যেদিন পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন ঘোষণা করা হয়েছে। ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য দিয়ে দেশের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো এবং পরিবেশের সুরক্ষায় ওয়ালটন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
ওয়ালটন এসির আরঅ্যান্ডআই বিভাগের প্রধান আরিফুল ইসলাম জানান, তাদের পরিবেশবান্ধব এসিতে ব্যবহৃত হচ্ছে সিএফসি (CFC) গ্যাসমুক্ত বিশ্বস্বীকৃত আর-৩২ (R-32) রেফ্রিজারেন্ট। আছে স্মার্ট কন্ট্রোল, টার্বোমুডসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ফিচার। এছাড়া লুভরড ফিন ইভাপোরেটর এবং মাইক্রোচ্যানেল কন্ডেন্সার ব্যবহার করায় ওয়ালটন এসি অনেক টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী।
জানা গেছে, ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ১৪-এর আওতায় ওয়ালটন এসি কিনে গ্রাহকরা পেতে পারেন ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাক। রয়েছে কোটি কোটি টাকার ওয়ালটন পণ্য ফ্রি। নগদ মূল্যের পাশাপাশি ওয়ালটন এসি কিস্তি এবং ইএমআই সুবিধায় কেনার সুযোগ রয়েছে। যে কোনো ব্র্যান্ডের পুরনো এসির বদলে আছে ২৫ শতাংশ ছাড়। ওয়ালটন এসিতে ফ্রি ইন্সটলেশন সুবিধা পাচ্ছেন গ্রাহকরা।
এসিতে এক বছরের রিপ্লেসমেন্টের পাশাপাশি ইনভার্টার এসির কম্প্রেসরে ১০ বছর পর্যন্ত গ্যারান্টি সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। আন্তর্জাতিকমানের ওয়ালটন এসি ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারা দেশে ৭৭টি সার্ভিস সেন্টারের পাশাপাশি প্রায় ৩০০ সার্ভিস পার্টনারের মাধ্যমে দেশব্যাপী এসির গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছে ওয়ালটন। তাদের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ানগণ প্রতি ১০০ দিন পর পর এসি ক্রেতাদের ফ্রি সার্ভিস দিচ্ছেন।