ঈদুল ফিতরের ঝড়ো অফারে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৪ এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ২০ লাখ টাকা পেলেন আরো দুই ক্রেতা। তারা হলেন-গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার কুশলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. পারভেজ রেজা হোসেন এবং নাটোরের সিংড়া উপজেলার কৃষক জুয়েল রানা।
পাশাপাশি ফ্রিজসহ টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ব্লেন্ডার, গ্যাস স্টোভ, রাইস কুকার ও ফ্যান কিনে দেশব্যাপী ক্রেতারা ৮৫ হাজারের বেশি ওয়ালটন পণ্য ফ্রি পেয়েছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত ১ লাখ টাকা করে পেয়েছেন ১০ জন।
এর আগে ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা করে পেয়েছেন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল হাসিম এবং নাটোরের বিরাহিমপুর মসজিদের ইমাম মো. আব্দুর রাজ্জাক। এছাড়া অসংখ্য ক্রেতা পেয়েছেন বিভিন্ন অঙ্কের নিশ্চিত ক্যাশব্যাক।
উল্লেখ্য, অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরও দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নাম্বার এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে ক্যাম্পেইনের সিজন-১৪ এর আওতায় ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাক এবং কোটি কোটি টাকার ফ্রি পণ্য পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
গত বুধবার গোপালগঞ্জ ওয়ালটন প্লাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে পারভেজ রেজার হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর চিত্রনায়ক আমিন খান এবং পৌর মেয়র কাজী লিয়াকত আলী।
এর আগে ২৩ এপ্রিল বগুড়ার নন্দীগ্রাম ওয়ালটন প্লাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে জুয়েল রানার হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ ও আমিন খান। সে সময় নন্দীগ্রাম থানার ওসি আনোয়ার হোসেনসহ ওয়ালটনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কৃষক জুয়েল রানার বাড়ি নাটোরের সিংড়া উপজেলায় হলেও তিনি পার্শ্ববর্তী নন্দীগ্রাম ওয়ালটন প্লাজা থেকে ফ্রিজটি কিনেছিলেন।
ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান বলেন, দেশে তৈরি পণ্য কেনার অর্থ দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা। ক্রেতারা বাংলাদেশে তৈরি আন্তর্জাতিকমানের পণ্যে আস্থা রেখেছেন বলেই ওয়ালটন মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারছে। ১০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠান প্রমাণ করে ওয়ালটন কথা দিয়ে কথা রাখে।
নন্দীগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ বলেন, বাংলাদেশে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স খাতে রোল মডেল ওয়ালটন। তারা সাশ্রয়ী দামে পণ্য দেয়ায় সবার জন্য টিভি-ফ্রিজ-এসির মতো পণ্য ব্যবহার সহজ হয়েছে।
সৌভাগ্যবান ক্রেতা পারভেজ রেজা বলেন, আমার এলাকার অধিকাংশ মানুষ ওয়ালটনের ফ্রিজ ব্যবহার করেন। দামে সাশ্রয়ী এবং মানে ভালো হওয়ায় আমি ওয়ালটন ফ্রিজার কিনেছি। ১০ লাখ টাকা পাওয়ার অনুভুতি বলে বোঝানো যায় না। ক্রেতাকে দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ।
ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেয়ে আবেগে আপ্লুত জুয়েল রানা। পেশায় কৃষক জুয়েল রানা জানান এই টাকা দিয়ে তিনি জমি কিনবেন।
জানা গেছে, ওয়ালটন ফ্রিজে ১ বছরের রিপ্লেসমেন্টসহ কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি, ৫ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবা, দেশব্যাপী বিস্তৃত ৭৭টি সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়ার নিশ্চয়তা এবং সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের সহজ কিস্তি সুবিধা দেয়া হচ্ছে।