পুঁজিবাজারে টানা পতন অব্যাহত থাকায় নড়েচড়ে বসেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বাজারে বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে ডিএসইর কাছে ৫০০ কোটি টাকা চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এছাড়া পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল (সিএমএসএফ) থেকে আইসিবিকে ৫০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বেশকিছু দিন ধরে শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে অর্থ উঠিয়ে নিচ্ছে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশে আইসিবির কাছে একক গ্রাহক ঋণসীমার অতিরিক্ত ৫৬৫ কোটি টাকা সমন্বয়ের জন্য চিঠি দিয়েছে সোনালী ব্যাংক। সব মিলিয়ে এ মাসের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটির ওপর ৭০০ কোটি টাকার আমানত ফেরত দেয়ার চাপ তৈরি হয়েছে। এতে নিম্নমুখী বাজারে নতুন বিনিয়োগের পরিবর্তে তহবিলের জন্য শেয়ার বিক্রি করতে হচ্ছে আইসিবিকে।
যদিও মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া আমানত পুনরায় নবায়ন করার জন্য এরই মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংক ও দুই প্রতিষ্ঠানকে চিঠিও দিয়েছে আইসিবি। আমানত নবায়ন করা হলে আইসিবিকে শেয়ার বিক্রি করে এসব প্রতিষ্ঠানের অর্থ পরিশোধ করতে হবে না।
উল্লেখ্য, ঈদুল ফিতরের পর শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় গত ৫ মে। ১৮ তারিখ পর্যন্ত দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়েছে মোট ৯ দিন, যার মধ্যে ৭ দিনই সূচকের পতন হয়েছে। ৫ মে লেনদেন শুরুর প্রথম দিনই প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ‘ডিএসই এক্স’ ১২ পয়েন্ট হারায়। পরের দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটির পর ৮ মে ২৬ পয়েন্ট বাড়ে সূচকটি। ৯ মে আবারও সূচক ২৮ পয়েন্ট বাড়ায় কিছুটা স্বস্তি মিলে।
তবে ১০ মে সূচক ৩২ পয়েন্ট কমায় সে স্বস্তি টেকেনি, বরং বিনিয়োগকারীদের হতাশা আরো বেড়েছে। ১১ মে সূচকের বড় পতন আবারও অস্বস্তিতে ফেলে বিনিয়োগকারীদের। সেদিন ‘ডিএসই এক্স’ হারায় ৭৩ পয়েন্ট।