আসন্ন বাজেটে করপোরেট কর আড়াই শতাংশ কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হচ্ছে। এছাড়া বিনা প্রশ্নে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ সাদা করার সুযোগ থাকছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়বে পুঁজিবাজারে।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করপোরেট কর কমছে। একই সঙ্গে কমছে হোটেল-রেস্টুরেন্ট খাতে কর। এছাড়াও প্রথমবারের মতো দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ বিনা প্রশ্নে সাদা করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডেও কর অব্যাহতি সুবিধা অব্যাহত থাকছে।
তবে করপোরেট কর আড়াই শতাংশ ছাড়ের ক্ষেত্রে দুটি শর্ত থাকছে। যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার আইপিওর মাধ্যমে বাজারে ছাড়া হয়েছে, তারাই কেবল এ সুবিধা পাবে। আর দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে বার্ষিক সর্বমোট ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত নগদ ব্যয় ও বিনিয়োগ ছাড়া সব ধরনের লেনদেন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। শর্তপূরণে ব্যর্থ হলে ১০ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছাড়া হলেও ওই কোম্পানিকে আগের ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে করপোরেট কর দিতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করপোরেট কর কমানো এবং বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ সাদা করার সুযোগ থাকলে এর প্রভাব পড়বে শেয়ারবাজারে। বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ যদি দেশে আনা যায় এর একটা বড় অংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ হতে পারে।
এছাড়াও একক ব্যক্তির মালিকানাধীন কোম্পানির (ওপিসি) ক্ষেত্রেও একই শর্ত দিয়ে করপোরেট কর ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হচ্ছে। বর্তমানে এক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ কর দিতে হয়। আগামী বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হচ্ছে না বলে জানা গেছে। চলতি অর্থবছরে করমুক্ত আয় সীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করা হয়। আগামী ৯ জুন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হবে। এবারের বাজেটের আকার হবে ছয় লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকার।