বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ’-এর আওতায় এখন থেকে ঋণ পাবেন মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহকরা। সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত এ ঋণ দেয়া হবে। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে এর অর্থায়ন করা হবে। এ জন্য ১০০ কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করা হয়েছে। এর ফলে বিকাশ, রকেট, এমক্যাশ ও উপায়সহ দেশে বর্তমানে ১৩টি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকরা পাবেন এই ঋণ। তবে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস ‘নগদ’ এর গ্রাহকরা এ সেবা পাবেন না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মতে, গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সব তফসিলি ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত পুনঃঅর্থায়ন সুবিধার ওপর ১ শতাংশ হারে সুদ আরোপ হবে। ব্যাংক এবং গ্রাহক উভয় পর্যায়ে ঋণের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ছয় মাস। ঋণ প্রসেসিং থেকে শুরু করে ঋণ আদায় পর্যন্ত সব কিছু ডিজিটাল পদ্ধতিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সময়ে সময়ে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের পরিমাণ কমাতে বা বাড়াতে পারবে।
ঋণ সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ঋণের সহজলভ্যতা ও ব্যাংকের তহবিল ব্যয় হ্রাস করে ‘ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ’ প্রদানে এই স্কিম গঠন করা হয়েছে। ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারার আওতায় এ নির্দেশনা জারি করা হলো। যা কার্যকর হবে অবিলম্বে।
‘ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ’ বিতরণকারী সব তফসিলি ব্যাংক এ সুবিধা গ্রহণের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। পুনঃঅর্থায়ন গ্রহণে আগ্রহী ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের (এফআইডি) সঙ্গে একটি চুক্তি করতে হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত মোবাইল ব্যাংকিং-এ নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার ৪০৫টি। আর মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দেয়ার জন্য এজেন্ট রয়েছে ১১ লাখ ৫১ হাজার ২১৩টি।