শেয়ারবাজারের টানা পতন ঠেকাতে আবারও নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আগামী রোববার থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
বৃহস্পতিবার বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সই করা এ সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করা হয়েছে। এখন থেকে শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দামের সর্বনিম্ন সীমা বা ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হবে।
বিএসইসির আদেশে বলা হয়েছে, আজকেরসহ বিগত ৫ দিনের ক্লোজিং প্রাইসের গড় দর হবে প্রতিটি সিকিউরিটিজের ফ্লোর প্রাইস। আগামীকাল থেকে এর উপরে সিকিউরিটিজের দর স্বাভাবিক হারে উঠানামা করতে পারবে। তবে ফ্লোর প্রাইসের নিচে নামতে পারবে না। কোম্পানির বোনাস শেয়ার বা রাইট শেয়ারের কারনে ফ্লোর প্রাইসে থাকা সিকিউরিটিজের দর সমন্বয় হবে। নতুন শেয়ারের ক্ষেত্রে প্রথম দিনের লেনদেনের ক্লোজিং প্রাইসকে ফ্লোর প্রাইস হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
কোনো কোম্পানি বোনাস লভ্যাংশ দিলে, রেকর্ড তারিখের আগের দিনের শেয়ারের মূল্যের সাথে সেটি সমন্বয় করে নতুন ফ্লোর প্রাইস হবে।
এরআগে ২০২০ সালে দেশে করোনা মহামারির প্রকোপ শুরু হলে শেয়ারবাজারে ভয়াবহ ধস নামে। সেই ধস ঠেকাতে ওই বছরের ১৯ মার্চ প্রতিটি সিকিউরিটিজের ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দিয়েছিল কমিশন।
বিএসইসির বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নিয়ে তিন ধাপে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়। প্রথম দফায় ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল ৬৬টি কোম্পানি থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হয়। এরপরে ওই বছরের ৩ জুন ৩০ কোম্পানি থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হয়। তৃতীয় ধাপে ১৭ জুন শেয়ারবাজার থেকে পুরোপুরি ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হয়।