ঢাকা     ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  ২ পৌষ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

অবশেষে পুঁজিবাজারে এলো সেই সুখবর

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২১:৫৬, ৪ আগস্ট ২০২২

অবশেষে পুঁজিবাজারে এলো সেই সুখবর

দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর অবশেষে পুঁজিবাজারে এলো সেই সুখবর। এখন থেকে শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা গণনায় বাজার দামের পরিবর্তে ক্রয় মূল্যকে (কস্ট প্রাইস) বিবেচনায় নেয়া হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সম্মতি পর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মো. আব্দুল মান্নান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনটি অফ-সাইট সুপারভিশন ডিপার্টমেন্ট থেকে জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ব্যাংবের অন্য কোম্পানির শেয়ার ধারনের বিষয়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা (এক্সপোজার লিমিট) নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ক্রয় মূল্যকেই ‘বাজারমূল্য’ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

এর আগে গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা নির্ধারণে ক্রয় মূল্যকে বাজার মূল্য হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।

বর্তমান ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, একটি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান তার মোট মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণ করতে পারবে না। সহযোগী প্রতিষ্ঠানসহ এটা হবে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ।

শেয়ার ধারণের মূল্য নির্ধারণ করা হয় বাজারমূল্যের ভিত্তিতে। তবে ব্যাংক তার বিনিয়োগসীমার মধ্যে থেকে শেয়ার কিনলেও তার দাম বেড়ে গেলে বাজারমূল্যের ভিত্তিকে বিনিয়োগ গণনার কারণে বিনিয়োগসীমা অতিক্রম করে যায়। ফলে দাম বাড়লেই ব্যাংকগুলো তাদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করতে বাধ্য হয়। এতে শেয়ারবাজারে বিক্রির চাপ বেড়ে দরপতন হয়।

এর কারণে শেয়ারবাজারে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা গণনায় বাজার দামের পরিবর্তে ক্রয় মূল্যকে বিবেচনায় নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল বিনিয়োগকারীরা। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার যোগদানের পর এ বিষয়ে উদ্যোগ নেন। গত ১৮ জুলাই বিনিয়োগ সীমা গণনায় বাজার দরের পরিবর্তে ক্রয় মূল্যকে বিবেচনায় নেয়ার বিষয়ে মতামত চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই চিঠির প্রেক্ষিতে অবশেষে সম্মতি দিলো অর্থ মন্ত্রণালয়। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্দেশনা জারি করার মাধ্যমে এ বিষয়ে সব জটিলতা নিরসন হলো। এর ফলে শেয়ারবাজারে আরো বিনিয়োগ বাড়বে বলে আশা করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।