প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসেবে সামর্থ্য অনুযায়ী আগামী কয়েকদিন শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়াবেন স্টক ডিলাররা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সোমবার বাংলাদেশ কমিশনের কার্যালয়ে বিএসইসি ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) প্রতিনিধিদের মধ্যে অনুষ্ঠিত সভায় এ কথা জানান স্টক ডিলাররা। বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ডিবিএ’র পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও।
সভায় বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম ও বিএসইসি’র ‘মার্কেট সার্ভেইল্যান্স অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স’ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ডিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ডিএসই’র শীর্ষ স্টক ব্রোকার ও স্টক ডিলারদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন ।
সভায় পুঁজিবাজারে চাহিদা বৃদ্ধি, বিনিয়োগকারীদের আস্থা তৈরিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। একই সঙ্গে শেয়ারবাজারে স্টক ডিলারদের বিনিয়োগ বাড়ানোসহ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এর মধ্যে রয়েছে- নিজ নিজ সামর্থ্য মোতাবেক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসেবে স্টক ডিলাররা আগামী কয়েকদিন বিনিয়োগ বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
বিগত সময়ে শেয়ার বিক্রি করে অনেক বিনিয়োগকারী বর্তমানে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছেন। এই বিনিয়োগকারীদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে পুনরায় বিনিয়োগের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া। এছাড়া যেসব নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট আছে তাদের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগসহ উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া।
প্রত্যেক স্টক ব্রোকার তাদের বিদ্যমান বিনিয়োগকারী ছাড়া নতুন সম্ভাব্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। যা বাজারে চাহিদা ও তারল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে সহায়তা করবে।
এছাড়া বাংলাদেশের যেসব জেলায় স্টক ব্রোকারের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ নেই, ওই সব জেলায় বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্টক ব্রোকারদের ডিজিটাল বুথ অথবা শাখা অফিস খোলার মাধ্যমে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা।