ঢাকা     ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  ২ পৌষ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

হুন্ডি প্রতিরোধে এবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন সিদ্ধান্ত

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২০:৪০, ১২ আগস্ট ২০২২

আপডেট: ২০:৫৪, ১৪ আগস্ট ২০২২

হুন্ডি প্রতিরোধে এবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন সিদ্ধান্ত

ব্যাংকের চেয়ে খোলা বাজারে ডলার দাম বেশি হওয়ায় অনেক প্রবাসী হুন্ডিতে টাকা পাঠাচ্ছেন। এই হুন্ডি প্রতিরোধে এবার সারাদেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা থেকে বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচার সেবা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে শুধু বৈদেশিক লেনদেনে নিয়োজিত অথরাইজড ডিলার ব্যাংকগুলোর (এডি) শাখা থেকেই নগদ ডলার কেনাবেচনার অনুমতি রয়েছে।

মানি চেঞ্জার ও খোলা বাজারে ডলারের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার শাখার সংখ্যা খুব কম। যেগুলো আছে সেগুলোর বেশিরভাগই রাজধানী ঢাকা ও কয়েকটি বিভাগীয় শহরে অবস্থিত। ফলে নগদ ডলার কেনাবেচার জন্য মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের ওপরই বেশি নির্ভর করতে হয়।

এ ধরনের সেবা কোন এলাকার কোন শাখায় চালু করা হবে সেই সম্ভাব্য তালিকা চেয়ে রোববার দেশের সব ব্যাংকের কাছে চিঠি দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রাথমিকভাবে শাখাগুলোতে একটি ডেস্কের মাধ্যমেই এ সেবা চালুর অনুমোদন দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, খোলাবাজার থেকে যে কেউ ডলার কিনতে পারেন। ব্যাংক থেকে কিনতে পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট করতে হয়। যে কারণে অনেকে এখন খোলাবাজার থেকে ডলার কিনে শেয়ারবাজারের মতো বিনিয়োগ করছেন, যা অবৈধ। এতে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। সবশেষ বুধবার খোলা বাজার থেকে এক ডলার কিনতে ১২০ টাকা গুনতে হয়েছে। অথচ আন্তব্যাংকে ডলার রেট ৯৫ টাকা।

আন্তঃব্যাংকের সঙ্গে খোলাবাজারে ডলারের দামের পার্থক্য প্রায় ২৫ টাকা। আর ব্যাংকের চেয়ে খোলাবাজার রেট অনেক বেশি হওয়ায় হুন্ডিতে টাকা পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। ডলার বাজারের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এরইমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন দল ১০০ বেশি মানি চেঞ্জার পরিদর্শন করে ৪২টি প্রতিষ্ঠানকে ডলার কেনাবেচায় বিভিন্ন অনিয়মের কারণে শোকজ করেছে। আর ৫টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করেছে। এছাড়া লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করায় ৯টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ডলারের দাম বৃদ্ধির পেছনে কারসাজির প্রমাণ পাওয়ায় ছয় ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।