বিলাসবহুল বাড়িতে ছোটখাটো একটি সিনেমাহল, সেই সিনেমাহলে রয়েছে দামি সোফা থেকে বিনোদনের যাবতীয় আয়োজন। সেই বিলাসবহুল বাড়িতে ছোটখাটো একটি বারও আছে। আর সেখানে থরে থরে সাজানো দামি মদ। দু’বছর ধরে গোয়েন্দাদের নজরে থাকা সরকারি এক কর্মকর্তার ৩০০ কোটি রুপির বেশি সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। আর ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে।
অভিযুক্ত ওই সরকারি কর্মকর্তার নাম সন্তোষ পাল। তিনি রাজ্যটির রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিসার (আরটিও)। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ জানিয়েছে, সন্তোষ পাল নিজে আরটিও কর্মকর্তা হলেও তার স্ত্রী রেখা পাল একই অফিসে করণিকের কাজ করেন। শুধু স্ত্রী নন, আরটিওতে কাজ করেন সন্তোষের বহু আত্মীয়ও। সন্তোষের তিনটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ১৬ লাখ রুপি এবং প্রচুর স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করেছেন ইওডব্লিউ কর্মকর্তারা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, গত দু’বছর ধরে সন্তোষের গতিবিধি এবং তার সম্পত্তির ওপর নজর রাখছিল ইওডব্লিউ। গত দু’বছরে তার সম্পত্তি আয়ের তুলনায় বেড়েছে ৬৫০ গুণ। মাসে ৬৫ হাজার রুপি বেতন পান সন্তোষ। এই বেতনে বিপুল সম্পত্তির অধিকারী তিনি কীভাবে হলেন, তা নজরে আসে ইওডব্লিউ-র।
সংস্থাটি তদন্তে নামতেই চাঞ্চল্যকর সব তথ্য উঠে আসে। স্থাবর এবং অস্থাবর মিলিয়ে সন্তোষের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩০০ কোটি রুপি। মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের শতাব্দীপুরমে ১০ হাজার বর্গফুটের দু’টি বাড়িও রয়েছে সন্তোষের।
এছাড়াও গৌরীঘাটে ১,২৪৭ বর্গফুট এবং ১,১৫০ বর্গফুটের দু’টি বাড়িসহ আরও দু’টি বাড়ি রয়েছে তার নামে। ইওডব্লিউ তিনটি বাড়িতে তল্লাশি চালালেও তারা জানিয়েছে, সন্তোষের মোট ছয়টি বাড়ি রয়েছে। তার নামে রয়েছে দু’টি দোকানও। ইওডব্লিউ আরো জানিয়েছে, সন্তোষের একটি খামারবাড়ি রয়েছে। সেই খামারবাড়ির আয়তন প্রায় দেড় একর। একটি স্করপিও এবং আই ২০ গাড়ি রয়েছে।