শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বই এখন চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে ব্যাংক ঋণের সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা উঠিয়ে দেয়া সম্ভব নয়। সুদহারের এক অঙ্কের নির্দেশনা তুলে দিলে বেসরকারি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এ মুহূর্তে ঋণের সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা উঠানোর কোনো সিদ্ধান্ত আপাতত আসছেনা।
শনিবার ঢাকার মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত ‘নবম বার্ষিক ব্যাংকিং কনফারেন্স’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় কিনি আরো বলেন, গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরেই আমি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনা জানার চেষ্টা করেছি। এখন যে সমস্যা (ডলার সংকট) দেশে বিরাজ করছে এটি বেশি দিন থাকবে না। সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুন মাস শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট বিতরণ করা ঋণের অংক দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ২৫ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ। যা এযাবতকালের সর্বোচ্চ খেলাপি ঋণের অংক।
এদিকে ঋণ ও বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সুদের হারে সিঙ্গেল ডিজিট কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একমাত্র ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ধরনের ঋণ ও বিনিয়োগের ওপর সর্বোচ্চ সুদের হার হবে ৯ শতাংশ। ব্যাংকগুলো প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে এর চেয়ে কম সুদও নির্ধারণ করতে পারবে। তবে কোনোক্রমেই ৯ শতাংশের বেশি সুদ নেয়া যাবে না। নিয়মিত ঋণ বা বিনিয়োগের বিপরীতে অতিরিক্ত কোনো মুনাফা বা দণ্ড সুদও আরোপ করা যাবে না।