ঢাকা     ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  ২ পৌষ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

হুন্ডি রোধে নজরদারিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ৪ লাখ এজেন্ট

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:৩৭, ৩০ আগস্ট ২০২২

আপডেট: ২০:৩৩, ৩১ আগস্ট ২০২২

হুন্ডি রোধে নজরদারিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ৪ লাখ এজেন্ট

হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন চিহ্নিত করার জন্য মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠান বিকাশ, নগদ, রকেট এবং উপায়ের প্রায় ৪ লাখ এজেন্টের তথ্য নজরদারিতে রেখেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডলার নিয়ে কারসাজির রোধে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকও বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ডলারের কারসাজি চক্র চিহ্নিত করতে মাঠে নামে বিএফআইইউ। ডলার মার্কেটে অস্থিরতার জন্য ডিজিটাল হুন্ডি দায়ি বলে মনে করে বিএফআইইউ। সম্প্রতি এবিষয়ে চিঠির মাধ্যমে দূতাবাসগুলোকে অবহিত করেছে সংস্থাটি।

সূত্র মতে, ডিজিটাল হুন্ডি, অবৈধ গেমিং, বেটিং ক্রিপ্টোট্রেডিং এবং অনলাইন ফরেক্স টেডিং রোধে ইতিমধ্যে বিএফআইইউ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আরব আমিরাত, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অষ্ট্রেলিয়া এবং সিঙ্গাপুর সহ অন্যান্য দেশের আউটলেটের ছবি সম্বলিত নমুনা তৈরি করে এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি।

সূত্র জানায়, রেমিট্যান্সের অর্থ ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে আনলে তা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদে জমা হচ্ছে না। ফলে দেশ ফরেক্স রিজার্ভ হতে বঞ্চিত হচ্ছে। অপরদিকে কার্ব মার্কেট থেকে বিনিয়োগ, হুন্ডি, বেটিং, ক্রিপ্টোট্রেডিং এবং অনলাইন ফরেক্স টেডিংয়ে অন্যান্য অপরাধমূলক তৎপরতার মাধ্যমে ডলার ক্রয় করে মজুদ রাখার জন্য ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুনে বাংলাদেশে ওয়েজ আর্নার্স রেমিট্যান্সের পরিমাণ পূর্ববর্তী মাসের তুলনায় ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ কমেছে। অথচ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের হিসাবে বিগত বছরে সর্বমোট ৬ লাখ ৩০ হাজার প্রবাসীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও শুধুমাত্র বিগত ৬ মাসেই ৬ লাখ ৫০ হাজার শ্রমিক বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। এক্ষেত্রে ওয়েজ আর্নার্স রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি না হয়ে কমে যাওয়া আশঙ্কাজনক।

জানা যায়, বাংলাদেশে ডিজিটাল হুন্ডি মূলত মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসগুলোর অপব্যবহারের মাধ্যমে করা হয়। ফলে দেশ প্রাপ্য রেমিট্যান্স হতে বঞ্চিত হয়। ডিজিটাল হুন্ডির সাধারণ নির্দেশকগুলোর মধ্যে রয়েছে ৯০ শতাংশ বা তার অধিক ক্যাশ ইন (এজেন্ট হতে গ্রাহক) লেনদেন, এক মিনিটে ৪টি বা তার অধিক ক্যাশ ইন সংঘটিত হওয়া এবং গভীর রাতে ক্যাশ ইন ইত্যাদি। এসব লেনদেনের অর্থ এজেন্ট ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে উত্তোলন করে উক্ত অর্থ দ্বারা কার্ব মার্কেট হতে ডলার ক্রয় করা হয়ে থাকে।

বাংলাদেশে ডলারের দর বৃদ্ধির বিভিন্ন কারনের মধ্যে ডিজিটাল হুন্ডি, অবৈধ গেমিং, বেটিং, ক্রিপ্টোট্রেডিং এবং অনলাইন ফরেক্স টেডিংকে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।