ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক আয়, ব্যয় ও সম্পদের তথ্য নির্ধারিত ফরমে উপস্থাপন করার মাধ্যম হচ্ছে আয়কর রিটার্ন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্ধারিত ফরমে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়।
আয়কর নির্দেশিকা ও পরিপত্র ২০২২-২০২৩ অনুযায়ী ৪০ ধরনের সেবায় রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি আয়কর রিটার্ন দাখিলেন প্রমাণ দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্র রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতার আওতার বাইরে রয়েছে। অর্থাৎ রিটার্ন দাখিল না করলেও চলবে। যেসব ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক নয় সেগুলো হলো:
* যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওর আওতায় সরকারি সুবিধাপ্রাপ্ত।
* ইংরেজি ভার্সন কারিকুলাম নেই এমন প্রতিষ্ঠান।
* সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এই সুবিধা পাবে।
* স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিল, অনুমোদিত গ্র্যাচুইটি তহবিল, পেনশন তহবিল ও অনুমোদিত বার্ধক্য তহবিল।
* বাংলাদেশে ফিক্সড বেজ নেই এমন অনিবাসী স্বাভাবিক ব্যক্তি।
* কোনো ব্যক্তি শ্রেণি যাদের বোর্ড অফিসিয়াল গেজেটে প্রকাশিত আদেশের মধ্যমে রিটার্ন দাখিল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সাধারণত কোনো ব্যক্তি-করদাতার বার্ষিক আয় যদি ৩ লাখ টাকার বেশি হয়; তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি, নারী ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের করদাতার বার্ষিক আয় যদি সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি হয়, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা করদাতার বার্ষিক আয় যদি ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার বেশি হয় এবং প্রতিবন্ধী করদাতার বার্ষিক আয় সাড়ে ৪ লাখ টাকার বেশি হলে তার রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক।
এছাড়া আরো অনেক কারণে ব্যক্তিকে আবশ্যিকভাবে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়। চলতি অর্থবছর থেকে রিটার্ন দাখিল করার পাশাপাশি সরকারি সেবা পেতে হলে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্রও দেখাতে হবে।