
চাহিদার বিপরীতে দেশে পর্যাপ্ত চিনি আমদানি করা হলেও হু হু করে বাড়ছে অন্যতম এ ভোগ্যণ্যের দাম। ১০ দিনের ব্যবধানে প্রতি মণ চিনিতে বেড়েছে ৩০০-৩৫০ টাকা। সংকটের কথা বলে সরকারের বেঁধে দেয়া মূল্যের চেয়ে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেশি দামে চিনি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। অনেক এলাকায় প্যাকেটজাত চিনি পাওয়াই যাচ্ছে না।
অস্থিতিশীল চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্যটি বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। সোমবার থেকে সংস্থাটি রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল স্থানে ৫৫ টাকা কেজি দরে চিনি বিক্রি করবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই সাশ্রয়ী মূল্যে চিনি বিক্রি চলবে।
টিসিবির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টিসিবি পরিবার কার্ডধারীদের বাইরে সাধারণ মানুষ ৫৫ টাকা দরে টিসিবির এই চিনি কিনতে পারবেন। একজন ক্রেতা এক কেজির বেশি চিনি কিনতে পারবেন না।
চলতি মাসের প্রথম দিকে খোলা চিনির দাম প্রতি কেজি ৯০ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। তবে এই দাম কার্যকর করেনি ব্যবসায়ীরা। সোমবার খোলা চিনির দাম ১২০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।
হঠাৎ চিনি দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি চিনির বাজার নিয়ে চিন্তিত বাংলাদেশ ব্যাংকও। রোববার বিকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, চাহিদার বিপরীতে দেশে পর্যাপ্ত চিনি আমদানি করা হয়েছে, দেশে চিনির সংকট হওয়ার কোনো কারণ নেই। গত বছরের তুলনায় এ বছর চিনি সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। শিগগিরই আরো ১ লাখ টন চিনি আমদানি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে ১৭ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি করা হয়েছিল। এ বছর প্রথম নয় মাসে সাড়ে ১৬ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি করা হয়েছে।
বর্তমানে দেশে বছরে চিনির চাহিদা ১৮ থেকে ২০ লাখ মেট্রিক টন। যার সিংহভাগই আমদানি করতে হয়।