মীর আখতার হোসেন লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) লটারিতে বরাদ্দপ্রাপ্ত শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হয়েছে। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, মীর আখতার হোসেন লিমিটেডের আইপিওতে মোট ৮৩০ কোটি ১২ লাখ ৪৬ হাজার ৯০০ টাকার বা ৭.৫৭ গুণ বেশি আবেদন জমা পড়েছিল। কোম্পানিটির আইপিওতে ২ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৪৭টি শেয়ারের বিপরীতে এই আবেদন জমা পড়ে।
এর মধ্যে বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের ৫৩২ কোটি ৩০ লাখ ৪৪ হাজার ৬০০ টাকার, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ৪৭ কোটি ৯ লাখ ১২ হাজার ৪০০ টাকার, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ৪০ কোটি ৫ লাখ ৩৪ হাজার ২০০ টাকার এবং যোগ্য বিনিয়োগকারীদের ২১০ কোটি ৬৭ লাখ ৫৫ হাজার ৭০০ টাকার আবেদন জমা পড়ে।
গত ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৪৭তম সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়।
মীর আখতার হোসেন বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে সরঞ্জাম-যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খাতে ব্যয় করবে।
৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাব-বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৬ দশমিক ৩২ টাকা। ২০১৯ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ) ৩৪ দশমিক ৭১ টাকা ও শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ব্যতীত) হয়েছে ৩৩ দশমিক ৬৩ টাকা। পাঁচটি আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, কর পরবর্তী নিট মুনাফার ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৬ দশমিক ২১ টাকা।
গত ২১ জানুয়ারি, সকাল ১১টায় লেকশোর হোটেলে কোম্পানির লটারির ড্র অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।