সংকটে থাকা শরীয়াহ্ ভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকগুলোকে তারল্য সুবিধা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারল্য সংকট কাটাতে ১৪ দিন মেয়াদে এ সুবিধা পাচ্ছে এসব ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সুবিধা দেয়ার পরদিন মঙ্গলবার পাঁচ ইসলামী ব্যাংক চার হাজার কোটি টাকা ধার নিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকা ধার নিয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, বুধবারও শরীয়াহ্ ভিত্তিক আরো দুই ব্যাংক নিয়েছে ১২৫০ কোটি টাকা। ব্যাংক দুটি হলো ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক (এনআরবি গ্লোবাল)। সুকুক বন্ড জমা রেখে এই অর্থ সহায়তা নিয়েছে ব্যাংক দুটি। আজ ব্যাংকগুলোর হিসাবে জমা হবে এ অর্থ।
জানা গেছে, অসাধু চক্র ভুয়া ঠিকানা ও কাগুজে কোম্পানি খুলে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল) থেকে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। আটটি প্রতিষ্ঠানের নামে চলতি বছরেই এ অর্থ নেয়া হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ তুলে নেয়া হয় ১ থেকে ১৭ নভেম্বর। যার পরিমাণ ২ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা।
এই ঋণ কেলেঙ্কারির অস্থিরতায় বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে প্রতিদিন আমানত উঠিয়ে নিচ্ছেন গ্রাহকরা। গত সোমবার ব্যাংকটির আমানত কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকায়। যা গত ৩১ অক্টোবর ছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার ২৭২ কোটি টাকা। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংক তারল্য সংকটে থাকা শরীয়াহ্ ভিত্তিক এসব ব্যাংকগুলোকে ১৪ দিন মেয়াদে নগদ অর্থ ধার দেয়া শুরু করে। এর প্রথম দিনই চার হাজার কোটি টাকা ধার নিয়েছে পাঁচটি শরীয়াহ্ ভিত্তিক ব্যাংক। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকা ধার নিয়েছে ইসলামী ব্যাংক।
গতকাল বুধবারও ইসলামী ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ১২৫০ কোটি টাকা ধার নিয়েছে বলে জানা গেছে। যা আগামী ১৪ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে পরিশোধ করতে হবে।
ইসলামি ধারার অনেক ব্যাংককে এতদিন টাকা ধার দিয়ে আসছিল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। তবে ইসলামী ব্যাংক এখন টাকার জন্য অন্য ব্যাংকের কাছে যাচ্ছে। এর ফলে ইসলামি ধারার অন্য ব্যাংকগুলোও হঠাৎ তারল্য-সংকটে পড়েছে।