শেয়ারপ্রতি ৮ গুণ মুনাফা হলেও বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড। সোমবার বাজারে গুঞ্জন ছিল ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে কোম্পানিটি।
কিন্তু সোমবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভায় সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি বছর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানিটির সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে (ইপিএস) ৩৩ পয়সা। গত বছর কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৪ পয়সা। সে হিসাবে গত বছরের তুলনায় কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ২৯ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ৭ গুণের বেশি।
৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত বছরে শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৯০ পয়সায়। যা ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর ছিল ১২ টাকা ৬৪ পয়সা।
লভ্যাংশের বিষয়ে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের নেয়া সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২১ মার্চ। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ ডিসেম্বর।
নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও আইপিও খরচের জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) শেয়ার ছেড়ে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহ করা রবির শেয়ার গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়।
লেনদেনের প্রথম দিন থেকেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম বাড়ার ক্ষেত্রে মহাদাপট দেখায়। লেনদেনের প্রথম কার্যদিবস থেকে টানা ১৫ কার্যদিবস বাড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম। দফায় দফায় দাম বেড়ে কোম্পানিটির ১০ টাকার শেয়ার ৭৭ টাকা ১০ পয়সায় উঠে যায়।
দফায় দফায় কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে তথ্যও প্রকাশ করা হয়। ডিএসই জানায়, শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণ জানতে কোম্পানিটিকে নোটিশ করা হয়। জবাবে কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে- সম্প্রতি শেয়ারের যে অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে তার পিছনে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদশীল তথ্য নেই।