অর্থবছরের শেষ সময়ে এসে গতি ফিরেছে দেশের রিজার্ভের অন্যতম উৎস প্রবাসী আয়। এর ফলে ইতিবাচক ধারায় ফিরতে শুরু করেছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। দুদিনের ব্যবধানে ফের রিজার্ভ বেড়েছে। রোববার রিজার্ভ বেড়ে ৩০ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। এর আগের দিন বুধবার ২৯ বিলিয়নের ঘর অতিক্রম করে রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। গত ২৫ জুন রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার।
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মার্চ ও এপ্রিল মাসের আমদানি দায় ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর ৮ মে রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছিল ২৯ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে।
পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে প্রবাসী আয়ে গতি বেড়েছে। চলতি জুন মাসের ২৩ দিনে ১৭৯ কোটি ৬৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা ধরে) ১৯ হাজার ৪০৩ কোটি টাকারও বেশি।
এর মধ্যে সৌদি আরব থেকে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৫৪২ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নাম। সেদেশ থেকে ৩ হাজার ৪৩৮ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ২ হাজার ৭১ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাজ্য ২ হাজার ৩৯ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার, কুয়েত থেকে ১ হাজার ৬৮৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার, কাতার থেকে ১ হাজার ৩৪৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার, ইতালি থেকে ১ হাজার ৫৪ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার, মালয়েশিয়া থেকে ১ হাজার ২১ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার, ওমান থেকে ৮৯৭ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, বাহরাইন থেকে ৫৬৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র মো. সরওয়ার হোসেন বলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় রিজার্ভও বেড়েছে। অনেক ব্যাংকের কাছে এখন এলসি বা লেটার অফ ক্রেডিট পরিশোধের পর্যাপ্ত ডলার রয়েছে। সামনে রিজার্ভ আরও বাড়বে।