ভূমি সচিব মোঃ মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারী বলেছেন, ভূমি অফিসে উপস্থিত হয়ে কর প্রদান না করতে হলে মানুষের এ সম্পর্কিত যাতায়াত কমে যাবে, ফলে জাতীয়ভাবে বিশাল কর্মঘন্টা রক্ষা পাবে; এতে দেশের সামগ্রিক জিডিপিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং অর্থনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনবে।
সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে 'ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনলাইনভিত্তিক ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জসমূহ ও উত্তরণের উপায়' শীর্ষক এক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। কর্মশালায় সঞ্চালক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী।
মোঃ মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, অনলাইন এলডি ট্যাক্স (ভূমি উন্নয়ন কর) সিস্টেমের মাধ্যমে নাগরিকগণ যেকোনো স্থান থেকেই স্বল্প ব্যয়ে ও স্বল্প সময়ে মোবাইল বা অনলাইন ব্যাংকিং বা অন্য যে কোনো ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে ভূমি উন্নয়ন করের অর্থ জমা প্রদান করতে পারবেন। এজন্য ভূমি কর প্রদানের জন্য মানুষের যাতায়াত কমে যাবে।
মোঃ ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী এ সময় জানান, এ বছরের ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখের মধ্যেই অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর সিস্টেমের উপর মাঠ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ শেষ হয়ে যাবে। আগামী বছরের মার্চ নাগাদ দেশব্যাপী পুরোদমে এ সিস্টেম চালু হয়ে যাবে।
ভূমি সংস্কার বোর্ডের সদস্য বেগম যাহিদা খানম ও মোঃ জয়নাল আবেদীন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: মাসুদ করিম, মোঃ ইসমাইল হোসেন এনডিসি, প্রদীপ কুমার দাস, মুহাম্মদ সালেহউদ্দীন, তপন কুমার কর্মকার সহ ভূমি মন্ত্রণালয় ও ভূমি সংস্কার বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় উপস্থিত কর্মকর্তাগণ প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও মতামত দেন যা থেকে বেশ কিছু সুপারিশমালা গ্রহণ করা হয়।
উল্লেখ্য, ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যারের পাইলটিং এর জন্য প্রথম পর্যায়ে ৮টি জেলার ৯টি উপজেলাধীন ৯টি পৌর/ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অন্তর্গত নির্বাচিত ১৯টি মৌজায় এ পর্যন্ত ৬২ হাজার ১০৫টি হোল্ডিং আপডেট করা হয়েছে। সারা দেশে হোল্ডিং সংখ্যা মোট প্রায় সাড়ে ৩ কোটি।