প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী ১৭৬টি দেশে কর্মরত থাকলেও দক্ষিণ এশিয়ার রেমিট্যান্স আহরণে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার রেমিট্যান্স আহরণে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে সবার উপরে রয়েছে ভারত। এরপরই রয়েছে পাকিস্তান, আর বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়।
২০২২ সালে ভারতের প্রবাসী আয় হয়েছিলো ১১১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপিতে রেমিট্যান্সের অবদান ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। ভারতের জিডিপিতে রেমিট্যান্সের অবদান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ৬ নম্বরে।
দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবাসী আয়ে ভারতের পরই পাকিস্তানের অবস্থান। ২০২২ সালে পাকিস্তান রেমিট্যান্স পেয়েছে ২৯ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। এই অংক বিশ্বের মোট রেমিট্যান্সের ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ, এছাড়া দেশটির জিডিপিতে প্রবাসী আয়ের অবদান ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। জিডিপিতে রেমিট্যান্সের অবদান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়।
প্রবাসী আয়ে ভারত ও পাকিস্তানের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। ২০২২ সালে রেমিট্যান্স থেকে বাংলাদেশের আয় করেছে ২১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। প্রবাসীদের এই আয় বিশ্বের মোট রেমিট্যান্সের ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। বাংলাদেশের প্রবাসী আয় দেশটির মোট জিডিপিতে অবদান রাখছে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ।
দক্ষিণ এশিয়ায় রেমিট্যান্স আহরণে অন্য দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে আছে নেপাল। দেশটি প্রবাসী আয় ৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার যা বিশ্বের মোট রেমিট্যান্সের ১ দশমিক ১১ শতাংশ। দেশটির প্রাবসী আয় তাদের মোট জিডিপির ২৩ দশমিক ১ শতাংশ। জিডিপিতে প্রবাসী আয়ের অবদানে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে দেশটি।
এ ছাড়া রেমিট্যান্স আহরণে পঞ্চম অবস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা। ২০২২ সালে তাদের আয় ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার যা বিশ্বের মোট রেমিট্যান্সের দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং তাদের মোট জিডিপির ৫ দশমিক ১ শতাংশ। জিডিপিতে প্রবাসী আয়ের অবদানে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয়তে আছে শ্রীলঙ্কা।