ইসলামী ব্যাংক থেকে একের পর এক বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে বিদেশি অংশীদাররা। ব্যাংকটির বিদেশি অংশীদার কুয়েত ফাইন্যান্স হাউসের পর এবার ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর বোর্ড থেকে পরিচালক পদ প্রত্যাহার করে নিয়েছে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি)।
১৯৮৩ সালে ইসলামী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠার পর থেকে আইডিবি তার প্রতিনিধি পাঠিয়ে ব্যাংকটির বোর্ডে পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছে। মোহাম্মদ আল-মিদানী সর্বশেষ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে ২০১৮ সালে আইডিবি ইসলামী ব্যাংকের ৮.৬৯ কোটি শেয়ার বিক্রি করে।
দেশের বেসরকারি খাতের বৃহত্তম এই ঋণদাতা ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের জন্য তার মাসিক শেয়ারহোল্ডিং প্রতিবেদনে বলেছে, আইডিবি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবে আইডিবি এখনো শেয়ার বিক্রি করেনি।
ব্যাংকটি গত ৮ অক্টোবর তাদের ওয়েবসাইটে শেয়ারহোল্ডিং প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ব্যাংকের প্লেসমেন্ট শেয়ার অধিগ্রহণের মাধ্যমে শুরু থেকেই ইসলামী ব্যাংকের সাথে জড়িত আইডিবি।
মাসিক শেয়ারহোল্ডিং প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, সৌদি ভিত্তিক আরবসাস ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিস্ট এজেন্সি তার ৯.৯৯% শেয়ার বিক্রি করেছে। প্রতিষ্ঠানটি গত মাসে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) মাধ্যমে ব্যাংকটির শেয়ার ৫২৪ কোটি টাকায় বিক্রি করেছে।
জুলাই মাসে, আরবসাস ট্রাভেল ব্যাংকের পর্ষদ থেকে পরিচালক পদ প্রত্যাহার করে। প্রত্যাহারের আগে, মুসাইদ আবদুল্লাহ এ আল-রাজি সৌদি ফার্মের হয়ে দীর্ঘদিন ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমানে, ইসলামী ব্যাংকে ইউসিফ আবদুল্লাহ এ আল-রাজি নামে একজন বিদেশি পরিচালক রয়েছেন। তিনি সৌদি আরব ভিত্তিক আল-রাজি কোম্পানি কর্তৃক মনোনীত। তিনি ব্যাংকের ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের ছেলে আহসানুল আলম জেএমসি বিল্ডার্সের মনোনীত ব্যক্তি হিসেবে ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি এখন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন।
৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, স্পনসর ও পরিচালকদের কাছে ইসলামী ব্যাংকের ৪০.৮৮% শেয়ার রয়েছে, যা এক মাস আগে ছিল ৪২.৯৮%।