সাড়ে ৪ হাজার টাকা বাড়িয়ে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও এ মজুরি বিক্ষোভরত শ্রমিকদের দাবির প্রায় অর্ধেক। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কার্যকর হবে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) নিম্নতম মজুরি বোর্ডের ৬ষ্ঠ সভার পর শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পোশাক শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা থেকে ৫৬ শতাংশ বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সভার পর পোশাক শ্রমিকদের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, আরএমজি শিল্পের বাস্তবতা এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে শ্রমিকরা বোর্ডের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন।
তবে সভায় পোশাক শ্রমিকদের রেশন দেওয়ায় বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তবে সরকার তাদের জন্য ফ্যামিলি কার্ড চালু করার পরিকল্পনা করছে বলে জানান শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের রেশনের দাবি আছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একটি পরিবারের জন্য একটি ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যেই নির্ধারিত থাকবে যতগুলো সদস্য কার্ডটি ব্যবস্থা করতে পারবে। পরবর্তীতে এ কার্ডের মাধ্যমে রেশনিং ব্যবস্থা চালুর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে পোশাক খাতের ন্যূনতম মজুরি ৭৬ শতাংশ বাড়িয়ে ৫ হাজার ৩০০ টাকা করেছিল নিম্নতম মজুরি বোর্ড। এরপর ২০১৮ সালে ন্যূনতম মজুরি তার চেয়ে প্রায় ৫১ শতাংশ বাড়িয়ে ৮ হাজার টাকা করা হয়।