বর্তমানে দেশে প্রায় ৯০ লাখের বেশি ট্যাক্সপেয়ার আইডেনটিফিকেশন নাম্বারধারী (টিআইএন) রয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রতিবছর ৩০ লাখের মতো নিজেদের আয়-ব্যয়ের বিস্তারিত জানিয়ে রিটার্ন জমা দেন।
আয়কর আইনের ২৬৪(৩) ২৭ ধারায় বলা হয়েছে, গণকর্মচারীর বেতন ভাতাদি প্রাপ্তিতে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ বা পিএসআর দাখিল করতে হবে। আইনের ধারা ২৬৪(৩) এ ৪৩টি সেবা ও কাজের ক্ষেত্রে পিএসআর জমা দিতে হবে। অর্থাৎ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নেয়ার ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ বা পিএসআর জমা দিতে হবে।
২০ লাখ টাকার বেশি ঋণের জন্য আবেদন করলে; সঞ্চয়পত্র কিনলে; গাড়ি থাকলে, ক্রেডিট কার্ড নিলে; কোনো কোম্পানির পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডার হলে; ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য হলে; কারো সন্তান বা পোষ্য ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করলে; অস্ত্রের লাইসেন্স নিলে; উপজেলা, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন ও জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হলে।
সরকারি-বেসরকারি ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা, নারী করদাতা ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সী করদাতাদের জন্য চার লাখ টাকা; তৃতীয় লিঙ্গের করদাতা ও প্রতিবন্ধী করদাতাদের ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা; গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত।
প্রতিবছর ১ জুলাই থেকেই কোনো জরিমানা ছাড়া চলতি করবর্ষের নিয়মিত রিটার্ন জমা দেয়া যায়। জরিমানা ছাড়া নিয়মিত রিটার্ন জমার শেষ দিন ৩০ নভেম্বর। এ সময়ের পরও আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত জরিমানা দিয়ে রিটার্ন জমা দেয়া যাবে।