ডলার সংকটে রয়েছে দেশের ২১টি ব্যাংক। এসব ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার সংগ্রহ করে চলছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক। এসময় তিনি বলেন, সার্বিকভাবে দেশে ডলারের কোনো সংকট নেই। ৩৯টি ব্যাংকের কাছে পর্যাপ্ত ডলারের মজুত আছে। আর এসব বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংকগুলো ডলারের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।
অর্থনীতি শক্তিশালী করতে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, সেগুলো ইতিবাচক দিকে যাওয়া শুরু করেছে জানিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ মুখপাত্র বলেন, আর্থিক সূচকগুলো ইতিবাচক ধারায় ফিরছে। দেশের রিজার্ভে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো নিয়ে শঙ্কা নেই। দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ২৫ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার।
তিনি বলেন, দেশের ডলার খরচের মূল খাত হলো ‘আমদানি মূল্য পরিশোধ করা এবং সেবামূল্য পরিশোধ।’ এ দুই জায়গাতেই চাহিদা কমাতে সক্ষম হয়েছি। এরই মধ্যে ডলার পরিশোধের পরিমাণ অর্ধেকে নেমে এসেছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে মাসিক ডলার পরিশোধ নেমে ৪৯ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। বেশ কিছু পণ্য আমদানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। এখন দীর্ঘমেয়াদি ঋণপত্রও খোলা কমেছে। ব্যবসায়ীরা এখন যেসব ঋণপত্র খুলছেন তার বেশির ভাগই অ্যাট সাইট এলসি বা তাৎক্ষণিক। তাই বলাই যায়, অল্পসময়ের মধ্যেই ডলার সংকট নিরসনের পাশাপাশি দেশের মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।