ঢাকা     ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ||  ৩ কার্তিক ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

গ্রাহকের হাজার কোটি টাকা না দিয়ে আবারো ব্যবসায় ইভ্যালি

প্রকাশিত: ২২:২০, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

আপডেট: ২০:৪৮, ২ জানুয়ারি ২০২৪

গ্রাহকের হাজার কোটি টাকা না দিয়ে আবারো ব্যবসায় ইভ্যালি

গ্রাহকের হাজার হাজার কোটি টাকা না দিয়ে আবরো ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করেছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ইভ্যালির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘ফেসবুক লাইভ উইথ সিইও’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ইভ্যালির ব্যবসা নিয়ে কথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল। এসময় তিনি গ্রাহকের বকেয়া টাকা ফেরত দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন। এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে বের হন তিনি।

ফেসবুক লাইভে গ্রাহকের বকেয়া টাকা পরিশোধের প্রক্রিয়া নিয়ে মো. রাসেল বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে উল্লেখ ছিল আমাদের কাছে সাড়ে তিনশ কোটি টাকা পাওনা আছে। নিঃসন্দেহে এটা বড় একটি অ্যামাউন্ট। যদি আমরা স্মল স্কেলে চিন্তা করি। কিন্তু বৃহৎ স্কেলে চিন্তা করলে আজকের দিনে ইভ্যালি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ই-কমার্স। এই জনপ্রিয় ই-কমার্স হওয়ার কারণ এ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ী ও গ্রাহক। গ্রাহক কখনোই আমরা ধরে রাখতে পারতাম না, যদি মার্চেন্টরা স্পেশাল প্রাইস না দিতেন। এই ব্যবসায়ীরা যে বিশেষ মূল্য আমাদের দেন, সেখান থেকেই আমরা একটা প্রোফিট রেখে সেগুলো সেল করি। আপনাদের কাছে মনে হতে পারে, এত দেনা কিন্তু দেশের ৫ শতাংশ লোকও যদি ইভ্যালি থেকে তাদের পণ্য নেয় তাহলে এ দেনা পরিশোধ করা খুবই সহজ হবে।

এর আগে পাওনা টাকা ও পণ্যের দাবিতে গ্রাহকদের বিক্ষোভের জেরে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং কোম্পানির চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে ওই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর নিজেদের অফিস বন্ধ ঘোষণা করে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি।

পরে কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেলের সময়ে পরিচালিত কর্মকাণ্ড অডিট করে ৪৭ হাজার কোটি টাকার হদিস পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছিলেন হাইকোর্ট নিযুক্ত ইভ্যালির পরিচালনা পর্ষদের প্রধান সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তিনি তখন জানান, বোর্ড যে অডিট করিয়েছে তার রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ইভ্যালির প্রায় ৪৭ হাজার কোটি টাকার কোন হদিস নেই। এই টাকা মোহাম্মদ রাসেলের নেতৃত্বাধীন বোর্ডের সময় ব্যাংক হিসাব থেকে চলে গেছে, যা আর উদ্ধার করা যায়নি। আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেবে গ্রাহক, মার্চেন্ট ও অন্যান্য সংস্থার কাছে তখন ইভ্যালির দেনা ছিলো ৫৪৩ কোটি টাকা।

হাইকোর্ট নিযুক্ত ইভ্যালির পরিচালনা পর্ষদ তাদের প্রতিবেদনে বলেছিলো, এটা স্পষ্ট যে ব্যবসা পরিচালনার উদ্দেশ্য অসৎ ছিল। প্রতিষ্ঠান ও মালিকরা গ্রাহকদের সরলতার সুযোগ নিয়েছে এবং ইভ্যালিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছিলো, প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী গ্রাহক ও পণ্য সরবরাহকারীদের অর্থ ব্যয় করেছে। ইভ্যালির ব্যবসায়িক লেনদেন বিবেচনা করার সময় এটি প্রকাশ করে যে কোম্পানির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল যেকোনো কৌশলে গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নেয়া। অর্থাৎ, গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করা।