
আলোচিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ই-ভ্যালিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর (ডিএনসিআরপি)। নোটিশে ই-ভ্যালিকে ক্রেতাদের অভিযোগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নিতে বলেছে অধিদপ্তর।
গত ১ জানুয়ারি ই-ভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলকে ওই নোটিশ পাঠানো হয়। তাকে নোটিশের জবাব দিতে সাত দিন সময় দেয়া হয়েছে। এর আগে, গত ১৮ ডিসেম্বর কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান মোহাম্মদ রাসেল।
ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, ই-ভ্যালির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার মধ্যে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার মামলা নিষ্পত্তি হয়নি। কিন্তু কারাগার থেকে বেরিয়ে তিনি আবার ব্যবসা শুরু করেছেন। তার উচিত আগে গ্রাহকদের বকেয়া পরিশোধ করা।
তিনি আরও বলেন, ই-ভ্যালি ইতোমধ্যে বিগ ব্যাং নামে একটি নতুন ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। আমরা জানি না নতুন কোনো কেলেঙ্কারি হতে যাচ্ছে কি না।
পাওনা টাকা ও পণ্যের দাবিতে গ্রাহকদের বিক্ষোভের জেরে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং কোম্পানির চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরে ওই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর নিজেদের অফিস বন্ধ ঘোষণা করে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি।
পরে কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেলের সময়ে পরিচালিত কর্মকাণ্ড অডিট করে ৪৭ হাজার কোটি টাকার হদিস পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছিলেন হাইকোর্ট নিযুক্ত ইভ্যালির পরিচালনা পর্ষদের প্রধান সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তিনি তখন জানান, বোর্ড যে অডিট করিয়েছে তার রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ইভ্যালির প্রায় ৪৭ হাজার কোটি টাকার কোন হদিস নেই। এই টাকা মোহাম্মদ রাসেলের নেতৃত্বাধীন বোর্ডের সময় ব্যাংক হিসাব থেকে চলে গেছে, যা আর উদ্ধার করা যায়নি। আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেবে গ্রাহক, মার্চেন্ট ও অন্যান্য সংস্থার কাছে তখন ইভ্যালির দেনা ছিলো ৫৪৩ কোটি টাকা।
হাইকোর্ট নিযুক্ত ইভ্যালির পরিচালনা পর্ষদ তাদের প্রতিবেদনে বলেছিলো, এটা স্পষ্ট যে ব্যবসা পরিচালনার উদ্দেশ্য অসৎ ছিল। প্রতিষ্ঠান ও মালিকরা গ্রাহকদের সরলতার সুযোগ নিয়েছে এবং ইভ্যালিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন।