
রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব পড়েছে দেশের রাজস্ব খাতে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বরে) রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ২২৭ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে প্রথম ৬ মাসে আয়কর, মূসক ও শুল্ক খাতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ৮৮ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে আদায় হয়েছে এক লাখ ৬৫ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩ হাজার ২২৭ কোটি টাকা কম আদায় হয়েছে।
এনবিআরের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ৮ হাজার ৫৬৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। একই সময়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাটে ঘাটতি হয়েছে ৬ হাজার ৭০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আর আয়কর খাতে ঘাটতির পরিমাণ ৮ হাজার ৫৯২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী- ওই সময়ে আমদানি খাতে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫৭ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা। আর আদায় হয়েছে ৪৯ হাজার ৬৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। ডিসেম্বর পর্যন্ত ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭০ হাজার ৮০৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। যার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৬৪ হাজার ৭৩৭ কোটি ২০ লাখ টাকা।
এ ছাড়া, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ওই সময়ে আয়কর ও ভ্রমণকর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬০ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা। যার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৫১ হাজার ৮২৪ কোটি ২ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, সরকার গত অর্থবছর থেকেই আমদানিকে নিরুৎসাহিত করেছে। এলসি খোলার ক্ষেত্রেও কিছুটা কড়াকড়ি রয়েছে। আমদানি ঋণাত্মক হয়ে যাওয়ায় শুল্ক আদায় কমে গেছে। তবে আমাদের প্রত্যাশা ছিল ভ্যাট ও আয়কর থেকে বেশি রাজস্ব আদায় হবে। দুই খাতে ১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন কম সাফল্য নয় বলেও মনে করেন এ কর্মকর্তা।