রাজস্ব আয় বাড়াতে নতুন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে করের আওতায় আনার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব ঘাটতির কারনে এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বরে) রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ২২৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে ডিসেম্বর মাসেই ঘাটতি ছয় হাজার ৭৮২ কোটি ২১ লাখ টাকা। এর আগে জুলাই-নভেম্বরে রাজস্ব ঘাটতি ছিল ১৬ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা। এক মাসের ব্যবধানে ঘাটতি বেড়েছে ছয় হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা।
এনবিআরের তথ্যানুসারে, আমদানি ও রফতানি পর্যায়ে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ আট হাজার ৫৬৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। একই সময়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাটে ঘাটতি হয়েছে ছয় হাজার ৭০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আর আয়কর খাতে ঘাটতির পরিমাণ আট হাজার ৫৯২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
আরো পড়ুন: আয়কর রিটার্ন জমা না দেওয়ায় হতে পারে যেসব বিপদ
এছাড়া চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। ছয় মাসে এক লাখ ৮৮ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সরকারের খাতায় রাজস্ব জমা হয়েছে এক লাখ ৬৫ হাজার ৬২৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩ হাজার ২২৭ কোটি টাকা কম আদায় হয়েছে।
২০১৩ সালে দেশে টিআইএনধারী ছিল ১৬ লাখের মতো। আর চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে টিআইএনধারীদের সংখ্যা এক কোটির মাইলফলক ছুঁয়েছে। সেই হিসাবে এক দশকে টিআইএনধারীদের সংখ্যা বেড়েছে ছয় গুণেরও বেশি। এর মধ্যে প্রায় দেড় লাখের মতো কোম্পানি ও ফার্ম রয়েছে।
এনবিআরের হিসাব অনুযায়ী, গত সপ্তাহ পর্যন্ত রিটার্ন সাবমিশন হয়েছে ৩৬ লাখের মতো; অর্থাৎ টিআইএনধারীর প্রায় দু-তৃতীয়াংশই রিটার্ন সাবমিট বা তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব সরকারকে জানাচ্ছেন না।
ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক রিটার্ন দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে গত ৩১ জানুয়ারি। এবার রিটার্ন জমা দিতে দুই মাসের অতিরিক্ত সময় দেওয়া হলেও অনেকেই রিটার্ন দেননি। যদিও এখন করদাতারা রিটার্ন জমা দিতে পারবেন, তবে তারা কোনো কর রেয়াত পাবেন না এবং তাদের জরিমানাও দিতে হবে।