ঢাকা     ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  ৭ পৌষ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

ঋণ আদায়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর নির্দেশনা

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২১:৩৯, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ঋণ আদায়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর নির্দেশনা

দুই বছরের বেশি সময়ে বকেয়া মন্দ ঋণ আদায়ের কড়া নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) সরাসরি তত্ত্বাবধানে প্রধান কার্যালয়ে ‘অবলোপনকৃত ঋণ আদায় ইউনিট’ গঠন করতে হবে।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা সিইও'র সক্ষমতা কিংবা বাৎসরিক আদায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন তার ওই পদে পুনঃনিয়োগের ক্ষেত্রে কর্ম উৎকর্ষতার অন্যতম মানদণ্ড হবে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দুই ধাপ নিচে নন এমন একজন কর্মকর্তাকে অবলোপনকৃত ঋণ আদায় ইউনিটের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। আদায়কৃত অবলোপনকৃত ঋণের ৫ শতাংশ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে বোনাস বা প্রণোদনা হিসাবে বিতরণ করা হবে।

অবলোপন ইউনিটে ঋণ মঞ্জুরি কার্যক্রম, ঋণের ডকুমেন্টেশন ও ঋণ আদায়ে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত হবে। ইউনিট গঠনের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তাকে ওই ইউনিটে রাখতে হবে। এই ঋণ আদায় অগ্রগতির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সভাপতিত্বে অবলোপনকৃত ঋণ আদায় ইউনিট মাসিক সভা তুলে ধরবে। ঋণ আদায় সম্পর্কিত অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রতি ত্রৈমাসিকে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায়ও উপস্থাপন করতে হবে।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, অবলোপনকৃত ঋণের বিপরীতে আদায়কৃত অর্থের ৫ শতাংশ বা সমপরিমাণ অর্থ প্রণোদনা হিসেবে অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে বিতরণযোগ্য হবে। বিতরণযোগ্য অর্থের সর্বোচ্চ শতাংশ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রাপ্য হবেন। অবশিষ্ট অর্থ অবলোপনকৃত ঋণ আদায় ইউনিটের প্রধানসহ ওই ইউনিটের অন্য কর্মকর্তারা প্রাপ্য হবেন। পাশাপাশি যে শাখা বা বিভাগের অবলোপনকৃত ঋণ আদায় করা হবে ওই শাখা কিংবা বিভাগের সরাসরিভাবে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাও ইউনিটের কর্মকর্তাদের অনুরূপ আনুপাতিক হারে প্রণোদনা পাবেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, যেসব ঋণ হিসাব একাদিক্রমে দুই বছর মন্দ ও ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত রয়েছে সেসব ঋণ হিসাব অবলোপন হবে। ঋণের শ্রেণিমান যাই হোক না কেন কোনো মৃত ব্যক্তির নিজ নামে অথবা তার একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে গৃহীত ঋণ হিসাব ব্যাংক স্বীয় বিবেচনায় অবলোপন করতে পারবে। আর অবলোপনযোগ্য ঋণের বিপরীতে ব্যাংকের অনুকূলে বন্ধকিকৃত সম্পত্তি (যদি থাকে) নিয়মানুগভাবে বিক্রয়ের চেষ্টা গ্রহণ করা হলে এবং ব্যাংকে নিশ্চয়তা প্রদানকারী ব্যক্তির কাছ থেকে পাওনা অর্থ আদায়ে সমর্থ না হলে ওই ঋণ অবলোপনের আওতায় আসবে। অবলোপনের জন্য নির্বাচিত ঋণ হিসাবসমূহের ক্ষেত্রে আগে আইনগত ব্যবস্থা সূচিত না হয়ে থাকলে অবলোপনের আগে অবশ্যই অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ অনুযায়ী মামলা দায়ের করতে হবে।