২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা থেকে গ্রাজুয়েট হওয়ার পর রাষ্ট্রের ওপর আর্থিক বোঝা কমানো এবং রপ্তানিকারকদের রাষ্ট্রীয় সমর্থন ছাড়াই বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করারজন্য প্রায় সব খাতে রপ্তানি ভর্তুকি আরও কমিয়েছে সরকার।
আগের অর্থবছরে ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সরকার রপ্তানি আয়ের উপর ১ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত নগদ সহায়তা দিয়েছিল যাতে রপ্তানিকারকদের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অগ্রগতি বজায় রাখতে সহায়তা করা হয়। সর্বোচ্চ এ হার ছিল ২০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, আজ থেকে শুরু হওয়া (২০২৪-২৫) অর্থবছর থেকে সর্বোচ্চ রপ্তানি প্রণোদনার হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ শতাংশ আর সর্বনিম্ন ০.৩ শতাংশ।
পোশাক প্রস্তুতকারীদের জন্য রপ্তানি আয়ের উপর নগদ সহায়তা ০.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৩০ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়াও, নতুন বাজার অনুসন্ধানের জন্য নগদ ভর্তুকি ৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে।
রপ্তানি প্রণোদনার এই হ্রাস পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত মাছ এবং কৃষি পণ্য সহ বিভিন্ন খাতকে প্রভাবিত করে।
এই সমন্বয় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) অবস্থানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যে নগদ প্রণোদনা রপ্তানি ভর্তুকি হিসাবে বিবেচিত হয়। একটি উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হতে হলে ডব্লিউটিওর ভর্তুকি এবং কাউন্টারভেলিং ব্যবস্থার চুক্তির অধীনে এই নগদ প্রণোদনাগুলি চালিয়ে যেতে পারে না।
বাংলাদেশ ২০২৬ সালে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার কথা। দেশটি এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি ভর্তুকি হ্রাস করা শুরু করে।