ঢাকা     ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  ১৩ পৌষ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ৩৮০ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকির সন্ধান

প্রকাশিত: ১১:৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ৩৮০ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকির সন্ধান

তামাকপণ্য উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি) বাংলাদেশ লিমিটেডের বিরুদ্ধে ৩৭৯ কোটি টাকার কর ফাঁকির তথ্য পেরেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এনবিআরের এক অনুসন্ধান চলাকালে, বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ-ভ্যাট) উদঘাটন করে যে, গত চার অর্থবছর ধরে রাজস্ব কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে উচ্চমূল্যে সিগারেট বিক্রি করে এবং সেই অনুযায়ী কর না দিয়ে আইন ভঙ্গ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

সূত্রমতে, বিএটি পুরনো মূল্যে সরকারকে কর দিয়ে ওয়্যারহাউজে নিয়ে পরবর্তীতে নতুন বর্ধিত দামে বিক্রি করলেও ওই পরিমাণ ভ্যাটের অর্থ সরকারকে দেয়নি।

এনবিআর কোনো অর্থবছরে সিগারেটের যে দাম নির্ধারণ করে দেয়, পণ্য গুদামে নেওয়ার পূর্বে সেই হারে কর পরিশোধ করে বিএটি। তবে এক অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার আগে কর দেওয়া পণ্য মজুত করে আরেক অর্থবছরে (অর্থাৎ, বাজেট ঘোষণার পরে) ডিলার বা পরিবেশকদের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি করেছে সে অনুযায়ী কর না দিয়েই।

সূত্র জানায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি এই কৌশলে ১৬৯ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। পরবর্তীতে কোম্পানিটির আগের অর্থবছরগুলোর মজুত পণ্যের তথ্য নেন কর্মকর্তারা, তখন জানা যায় ২০২২-২৩ অর্থবছরেও কোম্পানিটি ৮৮ কোটি টাকা করফাঁকি দিয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে দিয়েছে ৫৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভ্যাট ফাঁকি দেওয়া ১৬৯ কোটি টাকা ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধ করতে গত ১২ ডিসেম্বর বিএটি'কে একটি নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ওই কর্মকর্তা। তিনি আরও জানান, আগের তিন অর্থবছরের (২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩) এর মোট ২১১ কোটি টাকা পরিশোধ করতে ১৯ ডিসেম্বর আলাদা তিনটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে তথ্য গোপনের মাধ্যমে ২ হাজার ৫৪ কোটি টাকার ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক ফাঁকির সন্ধান পায় এনবিআর, যা নিয়ে এনবিআরের সাথে বিএটির আইনি বিরোধ চলমান।

শুধু ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো নয়, বাড়তি দামে সিগারেট বিক্রি করার মাধ্যমে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে দেশের আরেক বহুজাতিক কোম্পানি জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল (জেটিআই) বাংলাদেশ-এর বিরুদ্ধেও। তবে তাদের ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ জানা যায়নি।