ঢাকা     ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ||  ২৩ মাঘ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

ইউক্রেনের দুর্লভ খনিজের নিয়ন্ত্রণ চান ট্রাম্প

প্রকাশিত: ১৬:৩৬, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ইউক্রেনের দুর্লভ খনিজের নিয়ন্ত্রণ চান ট্রাম্প

সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তার বিনিময়ে ইউক্রেনের ‘বিরল খনিজ ও অন্যান্য সম্পদ’ চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, মিত্রদের বিনিয়োগের তার দেশ জন্য উন্মুক্ত। তবে তাদের অবশ্যই রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কিয়েভকে সহায়তা করতে হবে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত সোমবার ঘোষণা দেন, তিনি ইউক্রেনের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে চান। এই চুক্তি অনুসারে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে যুক্তরাষ্ট্র। বিনিময়ে দেশটির ‘বিরল খনিজ ও অন্যান্য সম্পদ’ পেতে চায় ওয়াশিংটন।

ট্রাম্প ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনের সঙ্গে একটি চুক্তি করার কথা ভাবছি, যেখানে তারা আমাদের দেয়া সহায়তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে তাদের বিরল খনিজ ও অন্যান্য সম্পদের মাধ্যমে। আমি বিরল খনিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই। আমরা শত শত বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছি। তাদের বিরল খনিজ সম্পদ অনেক ভালো। আমি সেই বিরল খনিজের নিরাপত্তা চাই এবং তারা এতে রাজি।’

ট্রাম্প ‘বিরল খনিজ ও অন্যান্য সম্পদ’ বলতে ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি। তবে ইউক্রেনে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও ধাতুর মধ্যে ২০টির মজুত রয়েছে। যার মধ্যে টাইটানিয়াম ও লিথিয়াম অন্যতম। টাইটানিয়াম মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা শিল্পে ব্যবহূত হয় এবং লিথিয়াম বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারির জন্য অপরিহার্য উপাদান। দেশটিতে আরও কিছু বিরল মৃত্তিকা ধাতু আছে। যেমন, সেরিয়াম, ইট্রিয়াম, ল্যান্থানাম ও নিওডিমিয়াম। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিশ্বজুড়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ঝোঁকার কারণে এসব উপাদানের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। শক্তিশালী চুম্বক তৈরির জন্য এই বিরল উপাদানগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা উইন্ড টারবাইনের জেনারেটরে ব্যবহৃত হয়।

বর্তমানে বিশ্ববাজারে চীনের নিয়ন্ত্রণের কারণেই ট্রাম্প ইউক্রেনের বিরল খনিজের দিকে নজর দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে চীন বৈশ্বিক বিরল খনিজের খনির ৭০ শতাংশ এবং প্রক্রিয়াকরণের ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। সবার আগে আমেরিকা নীতির কারণে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্ভবত বেইজিংয়ের ওপর কৌশলগত সুবিধা পেতে আমেরিকার প্রতিযোগিতার শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ খনিজের বাজার বর্তমানে ৩২০ বিলিয়ন ডলারের এবং আগামী পাঁচ বছরে এটি দ্বিগুণ হতে পারে বলে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের অনুমান।