
বাংলাদেশে ২ জনের এক সংস্থায় ২৯ মিলিয়ন ডলার অনুদান
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে এমন এক সংস্থা ২৯ মিলিয়ন (২ কোটি ৯০ লাখ) ডলার পেয়েছে, যে সংস্থার নাম আগে কেউ শোনেনি। সেই সংস্থায় মাত্র দুজন কাজ করেন।’
স্থানীয় সময় শুক্রবার হোয়াইট হাউজে গভর্নরদের এক ওয়ার্কিং সেশনে বক্তব্য দেওয়ার সময় ট্রাম্প এ কথা বলেন। একই অনুষ্ঠানে ভারত, নেপালসহ বিভিন্ন দেশকে অর্থ দেয়ার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি। হোয়াইট হাউজের ইউটিউব চ্যানেলে সেই বক্তৃতার ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ছোট একটি সংস্থা, এখান থেকে ১০ হাজার ডলার, সেখান থেকে ১০ হাজার ডলার পায়। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে পেয়েছে ২৯ মিলিয়ন ডলার।’
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, তারা (দুই কর্মী) এখন খুবই খুশি; খুবই ধনী। কোনো ব্যবসায়িক সাময়িকীর প্রচ্ছদে শিগগিরই তারা স্থান পাবে, প্রতারণায় সেরা হওয়ার জন্য।’
ভারতের প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘২১ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হচ্ছে আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতকে ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধির জন্য। আমাদের কী হবে! আমিও তো চাই ভোটার উপস্থিতি বাড়ুক।’
এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতাবিষয়ক বিভাগ (ডিওজিই) জানিয়েছিল, বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে নানা প্রকল্পে অর্থায়ন বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ডিওজিই তাদের ভেরিফায়েড এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছিল, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নেয়া প্রকল্প ‘স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ’-এ ২৯ মিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন বাতিল করা হয়েছে।
ট্রাম্প ও ডিওজিই প্রধান ইলন মাস্কের দাবি, মার্কিন সংস্থা ইউএসএআইডি অহেতুক নানা প্রকল্পে মার্কিন করদাতাদের অর্থ খরচ করেছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কাজে তো আসেইনি, উল্টো জালিয়াতির মাধ্যমে অনেককে পকেট ভরার সুযোগ করে দিয়েছে। ইউএসএআইডি বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক প্রচারণা নিয়ন্ত্রণেও অর্থ ব্যয় করেছে বলে অভিযোগ তাদের।