
টানা অষ্টমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তকমা নিজেদের করে নিয়েছে ফিনল্যান্ড। ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৫-এ ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন এবং নরওয়েসহ নরডিক দেশগুলো শীর্ষ দশে স্থান পেয়েছে।
ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২২-২০২৪ সালের গড় তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে এই তালিকা, যেখানে স্যান্ট্রিল ল্যাডার নামক জরিপে মানুষের জীবনকে মূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে ছয়টি প্রধান বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে— মাথাপিছু জিডিপি, সামাজিক সহায়তা, সুস্থ জীবন প্রত্যাশা, স্বাধীনতা, উদারতা ও দুর্নীতির অভাব।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফিনল্যান্ডের সাফল্যের মূল কারণ হলো সাম্য, আস্থা এবং মানুষের মধ্যে সদ্ভাব। দেশটির মানুষ একে অপরকে বিশ্বাস করে এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী।
২০২৫ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ সুখী দেশের তালিকা:
১। ফিনল্যান্ড, ২। ডেনমার্ক, ৩। আইসল্যান্ড, ৪। সুইডেন, ৫। নেদারল্যান্ডস, ৬। কোস্টারিকা, ৭। নরওয়ে, ৮। ইসরায়েল, ৯। লুক্সেমবার্গ ও ১০। মেক্সিকো।
বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র গত বছরের ২৩তম স্থান থেকে এক ধাপ পিছিয়ে ২৪তম স্থানে নেমে গেছে। তরুণদের মধ্যে অসন্তোষ, সামাজিক সংযোগের অভাব এবং একাকী সময় কাটানোর প্রবণতা এই অবস্থানের পেছনে বড় কারণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সুখ কেবল অর্থনৈতিক উন্নতি বা উচ্চ আয়ের ওপর নির্ভর করে না। বরং সামাজিক সম্পর্ক, আস্থা, ও সহানুভূতি সুখী দেশের মূল চাবিকাঠি।
এই তালিকায় বরাবরের মতোই বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলো তলানির দিকে অবস্থান করছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনেরও ২৬ ধাপ নিচে বাংলাদেশের অবস্থান। ১৪৭ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৪তম। তালিকার সর্বশেষ দেশটি আফগানিস্তান।
এছাড়া, দক্ষিণ এশিয়ার বাকি সব দেশই রয়েছে বাংলাদেশের ওপরে। এ তালিকায় নেপাল ৯২, পাকিস্তান ১০৯, ভারত ১১৮, মিয়ানমার ১২৬ ও শ্রীলঙ্কার অবস্থান ১৩৩তম।