করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে আগামী বুধবার থেকে এক সপ্তাহ শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকতে পারে। কারণ, এ সময়ে ব্যাংক বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে সরকারি নির্দেশে। আজ সোমবার সরকার এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
নির্দেশনা জারির পর শেয়ারবাজারের লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত ব্যাংক খোলা থাকলে শেয়ারবাজারও খোলা থাকবে। আর ব্যাংক বন্ধ থাকলে লেনদেনও বন্ধ থাকবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বিধিনিষেধ আরোপ করে ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে। এতে বলা হয়, সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস/আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ও সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। তবে বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দর এবং এ সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, পোশাক কারখানা চালু থাকলে ঋণপত্র খোলাসহ অন্য কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। না হলে কারখানা চলবে না। এ জন্য আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। নিশ্চয়ই এ নিয়ে একটা ব্যাখ্যা আসবে।
তবে শিল্প কারখানা চালু থাকায় ব্যাংকিং কার্যক্রম সীমিত আকারে হলে, শেয়ারবাজার নাও খোলা থাকতে পারে।
এদিকে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের যে নির্দেশনা দিয়েছে, তার মধ্যে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে এমনিতেই তিন দিন বন্ধ থাকত ব্যাংক। তার সঙ্গে বাড়তি কয়েক দিনের জন্য ব্যাংক বন্ধের সরকারি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে ব্যাংকের লেনদেনের সঙ্গে সমন্বয় করে আজ থেকে শেয়ারবাজারে আড়াই ঘণ্টার লেনদেন চলছে। কাল মঙ্গলবারও বাজারে আড়াই ঘণ্টা লেনদেন হবে। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহ ব্যাংক বন্ধের কারণে শেয়ারবাজারেও লেনদেন বন্ধ থাকবে।