ঢাকা     ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  ২ পৌষ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

মহামারীতেও ঊর্ধ্বমুখী পুঁজিবাজার

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৪:১৩, ৮ আগস্ট ২০২১

মহামারীতেও ঊর্ধ্বমুখী পুঁজিবাজার

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের ভয়াবহ থাবায় যেখানে থমকে আছে অর্থনীতি সেখানে এই মহামারীতেও ঊর্ধ্বমুখী পুঁজিবাজার। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুঁজিবাজারে করোনাকালিন সময়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এই সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ৮৩ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে বাংলাদেশের চেয়েও বেশি সূচক বেড়েছে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড ও জার্মানির পুঁজিবাজারে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুঁজিবাজারের সূচক গত বছর সর্বনিম্ন কোন অবস্থানে ছিল এবং এ বছরের ৫ আগস্ট এ সূচকগুলোর অবস্থান কী সেটির একটি তুলনামূলক পর্যালোচনা প্রকাশ করেছে ব্লুমবার্গ ও ইনভেস্টিং ডট কমের পরিসংখ্যানে। এতে দেখা যায়, থাইল্যান্ডের এসইটি সূচকের পয়েন্ট বেড়েছে ১২৪ শতাংশ। এর পরই রয়েছে ভারতের সেনসেক্স সূচক। এ সময়ে সূচকটি বেড়েছে ১০৯ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রের ডাওজোনস সূচকে এ সময়ে ৯৩ শতাংশ যোগ হয়েছে। একই সময়ে শ্রীলংকার সিএসইঅল এবং জার্মানির ডিএএক্স সূচক বেড়েছে যথাক্রমে ৯১ ও ৮৭ শতাংশ। পাকিস্তানের কেএসই ১০০ সূচকে ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এছাড়া গত বছরের সর্বনিম্ন অবস্থানের তুলনায় এ বছরে জাপানের নিক্কেই ২২৪ সূচকটি ৬৮, চীনের শেনঝেন কম্পোজিট সূচক ৫৫, যুক্তরাজ্যের এফটিএসই সূচক ৪৩, চীনের সাংহাই কম্পোজিট সূচক ৩০, মালয়েশিয়ার এফটিএসই বুর্সা মালয়েশিয়া কেএলসিআই সূচক ২১ শতাংশ বেড়েছে।

বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের পুঁজিবাজারের সার্বিক মূল্য-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) পর্যালোচনায় দেখা যায়, ভারতের সেনসেক্সের পিই রেশিও সবচেয়ে বেশি ৩০ দশমিক ৩৮। পিই রেশিওতে এর পরেই রয়েছে থাইল্যান্ডের এসইটির ২৭ দশমিক শূন্য ২, যুক্তরাষ্ট্রের ডাওজোনসের ২৩ দশমিক ৯১, ভিয়েতনামের ভিএন ইনডেক্স ১৬ দশমিক ৮৮, বাংলাদেশের ডিএসইএক্সের ১৫ দশমিক ৮৬, হংকংয়ের হ্যাং সেংয়ের ১১ দশমিক ৩৬, পাকিস্তানের কেএসই ১০০-এর ১০ দশমিক ৭৫ এবং শ্রীলংকার সিএসইঅলের ১০ দশমিক শূন্য ৯।

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সার্বিক পিই রেশিও এখনো বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় অবস্থানে থাকলেও এরই মধ্যে বেশকিছু খাতের শেয়ার অতিমূল্যায়িত হয়ে গেছে। এর মধ্যে পাট খাতের পিই রেশিও ৮১৩ দশমিক ৩, কাগজ ও মুদ্রণ খাতের ৫৯ দশমিক ১, চামড়া খাতের ৮৬ দশমিক ১ এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের পিই রেশিও ৮২ দশমিক ২ অবস্থানে রয়েছে। এর বাইরে বাকি সব খাতের পিই রেশিও ৪০-এর নিচে অবস্থান করছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত বছরের ১৮ মার্চ ডিএসইএক্সের সর্বনিম্ন অবস্থান ছিল ৩ হাজার ৬০৪ পয়েন্টে। সেখান থেকে সূচকটি বেড়ে সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ৬ হাজার ৫৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের ১৮ মার্চ ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ২ লাখ ৮৭ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার এক্সচেঞ্জটির বাজার মূলধন ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৩২৬ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে বাজার মূলধন বেড়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা।