দুর্ঘটনার পর উদ্ধার কার্যক্রমে গতি আনতে তিনটি অ্যাকসিডেন্ট রিলিফ ক্রেন কেনার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এসব ক্রেনের দুটি ব্রড গেজ রেলপথের জন্য ও একটি মিটার গেজ রেলপথের জন্য কেনা হবে। এজন্য ২৩৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছে সংস্থাটি। রোববার প্রকল্প প্রস্তাবটি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে প্রাক যাচাই কমিটি।
প্রাথমিকভাবে প্রতিটি ব্রড গেজ রিলিফ ক্রেনের দাম ধরা হয়েছে ৫৩ কোটি ২২ লাখ টাকা। সিডি ও ভ্যাট যুক্ত হওয়ার পর দুটি ক্রেনের দাম পড়বে ১৩৩ কোটি ৫ লাখ টাকা। অন্যদিকে একটি মিটার গেজ রিলিফ ক্রেনের দাম প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪৩ কোটি ৩৩ লাখ। সিডি ও ভ্যাট যুক্ত হয়ে খরচ দাঁড়াবে ৫৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় পরিকল্পনায় তিনটি ক্রেনের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮৭ কোটি টাকা। প্রায় ৫০ কোটি টাকা আনুষঙ্গিক ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রাক-প্রকল্প প্রস্তাব অনুযায়ী, তিনটি ক্রেন কিনতে রেলের ব্যয় হবে ২৩৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়েতে অ্যাকসিডেন্ট রিলিফ ক্রেন আছে ১৯টি। পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের ঢাকা, আখাউড়া, কেওয়াটখালী, কুলাউড়া, পাহাড়তলী ও লাকসাম লোকোশেড এবং পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ঈশ্বরদী, পার্বতীপুর, খুলনা, রাজবাড়ী, লালমনিরহাট ও বোনারপাড়া লোকোশেডের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এসব রিলিফ ক্রেন। যে তিনটি রিলিফ ক্রেন কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে, সেগুলো ব্যবহার হবে চট্টগ্রাম, ঢাকা ও রাজবাড়ী এলাকায়। তবে প্রয়োজনে এগুলোর এলাকা পরিবর্তন হতে পারে।
সাধারণত একটি রিলিফ ক্রেনের অর্থনৈতিক আয়ু ২০ বছর। এ বয়সসীমার মধ্যে থাকা বাংলাদেশ রেলওয়ের রিলিফ ক্রেনের সংখ্যা মাত্র নয়টি। এর মধ্যে তিনটির বয়স ২১ থেকে ৩৫ বছর। আর ১০টি ক্রেনের বয়স ৩৫ বছর ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে কয়েকটি ক্রেনে আবার ব্যবহূত হচ্ছে বাষ্পীয় ইঞ্জিন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে বলছে, বর্তমানে বহরে যেসব রিলিফ ক্রেন আছে, সেগুলো দিয়ে ট্রেন দুর্ঘটনা মোকাবেলা করা সম্ভব। তবে পদ্মা সেতু রেল লিংক, ঢাকা-চট্টগ্রাম ডুয়াল গেজ রেললাইন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের মতো প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে আরো রিলিফ ক্রেনের প্রয়োজন হবে।