শেয়ারবাজারের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে নভেম্বর মাসে নতুন করে ৯ হাজার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব খুলেছেন বিনিয়োগকারীরা। তারপরও বাজার নিয়ে হতাশা কাটছেনা বিনিয়োগকারীদের।
গত ৩০ নভেম্বর আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক এবং পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত। ওই বৈঠকের প্রেক্ষিতে বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রেসরিলিজকে কেন্দ্র করে বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজারের স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এই ঘটনায় আলোচিত দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে বিদ্যমান তীব্র টানাপোড়েন ও মুখোমুখী অবস্থানের বিষয়টি সবার কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়। তাদের এই সাংঘর্ষিক অবস্থা পুঁজিবাজারে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, এমন আশংকা বিনিয়োগকারী ও স্টেকহোল্ডারদের।
সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) সূত্র মতে, অক্টোবর মাসের শেষ দিন শেয়ারবাজারে বিও হিসাব ছিল ২০ লাখ ১০ হাজার ৫০০টি। আর নভেম্বর মাসের শেষ দিন বিও হিসাব ২০ লাখ ১৯ হাজার ৭৮৩টিতে দাঁড়ায়। অর্থাৎ নভেম্বর মাসে ৯ হাজার ২৮৩টি বিও হিসাব বেড়েছে।
নভেম্বর মাসে পুরুষদের বিও হিসাব ৭ হাজার ২৬টি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭৫৪টিতে। অক্টোবর মাসের শেষ দিন পুরুষদের বিও হিসাব ছিল ১৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮২৮টিতে। আর নভেম্বর মাসে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব দুই হাজার ১৪৩টি বেড়ে পাঁচ লাখ তিন হাজার ৬৯৬টিতে দাঁড়িয়েছে। অক্টোবর মাসের শেষ দিন নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল পাঁচ লাখ এক হাজার ৫৫৩টিতে।
অক্টোবর মাসের শেষ দিন কোম্পানি বিও হিসাব ছিল ১৫ হাজার ১১৯টি। কোম্পানি বিও ১১৪টি বেড়ে নভেম্বর মাসের শেষ দিন দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ২২৩টিতে।
নভেম্বর মাসে দেশে অবস্থানকারী বিনিয়োগকারীদের ৯ হাজার ৮৩৬টি বিও হিসাব বেড়েছে। এর মাধ্যমে নভেম্বর মাসের শেষ দিন দেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ১৪ হাজার ৭০৯টিতে। যা অক্টোবর মাসের শেষ দিন ছিল ১৯ লাখ ৪ হাজার ৮৭৩টিতে।
নভেম্বর মাসে বিদেশে অবস্থানকারী বিনিয়োগকারীদের ৬৬৭টি বিও হিসাব কমে দাঁড়িয়েছে ৮৯ হাজার ৮৪১টিতে। অক্টোবর মাসের শেষ দিন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ৯০ হাজার ৫০৮টিতে।