চলতি অর্থবছরে ৭.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির যে প্রাক্কলন করা হয়েছে তা অর্জনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সোমবার দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
জিডিপি প্রবৃদ্ধি বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান অর্থবছরে আমাদের বাজেটের আকার যেটা রয়েছে সেখানে আমাদের প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধি রয়েছে ৭.২ শতাংশ। আমরা বিশ্বাস করি ৭.২ শতাংশ অর্জন করতে পারব। আপনারা জানেন বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ সব সময় এ বিষয়ে একটু অন্যরকম। তবে ভালো খবর হলো আমরা ৭.২ অর্জন করতে পারব। আমরা যদি কাছাকাছি সময় দেখি তাহলে আমরা দেখতে পাই প্রতিটা খাতেই আমাদের প্রবৃদ্ধি আছে। ভালোভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জন করছি। আমাদের এক্সপোর্টও বেড়েছে। এক্সপোর্টে যা আশা করেছিলাম তার চেয়ে বেশি হয়েছে।
জনশুমারি প্রকল্প ফেরত দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, দেশে তৈরি করা জিনিস আমরা ব্যবহার করতে চাই। সেজন্য আমরা সময় বেশি নিচ্ছি। কারণ মেড-ইন-বাংলাদেশ ইজ অ্য কনসেপ্ট, ইজ অ্য ফিলোসফি। আপনাকে বুঝতে হবে আগামী ৫০ বছরকে সামনে রেখে আমরা কিন্তু এ ধরনের ফিলোসফি ধারণ করছি। আমরা ইম্পোর্ট করে আনলে সহজেই করা যায়। কিন্তু আমরা ইম্পোর্টেড প্রোডাক্ট দেখতে চাই না। আমাদের দেশে যারা সক্ষম এগুলো তৈরির জন্য তাদের সুযোগ দিতে হবে। সে জন্যই সময় বেশি লাগছে। যাতে ভুল ভ্রান্তি না হয় সেটি দেখা। দেশীয় কোম্পানিকেই দিতে চাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা চাই যেসব জিনিস দেশে তৈরি হয় সেগুলো আমরা বিদেশ থেকে কম আমদানি করবো। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবো। আমরা দেখতে চাই আমরা কোন জায়গায় পৌঁছাতে পারি।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বিভিন্ন দেশে রোড শো করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোড শো’র আউটকাম তো আছেই। রোড শো করার সঙ্গে সরাসরি কোনো হস্তক্ষেপ হয় বলে বিশ্বাস করি না। আমি বিশ্বাস করি রোড শো’র একটি কার্যকারিতা আছে। সারাবিশ্বের মানুষের আগে যে ধারণা ছিল সেটি এখন থাকবে না। এখনো বিশ্বের মানুষ মনে করে আমাদের যে অগ্রগতি, অর্জন এটা বিস্ময়ের বিষয়। এটা বিস্ময়ের বিষয় নয়, বাস্তবতা। আমি মনে করি আমরা ঠিক জায়গায় আছি।