প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও’র মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায় নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস। ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য বুক-বিল্ডিং পদ্ধতির অধীনে এ টাকা সংগ্রহ করতে চায় কোম্পানিটি।
কোম্পানিটি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে নিজেদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য মঙ্গলবার একটি রোডশোর আয়োজন করে। শেরাটন হোটেলে আয়োজিত এ রোড শোতে কোম্পানিটি তাদের প্রসপেক্টাসে বিগত ৫ অর্থবছরের ফিন্যান্সিয়াল প্রতিবেদন তুলে ধরে।
অনুষ্ঠানে নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড ৩০ বছর অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে আমরা মানুষের আস্থা অর্জন করেছি। আমরা দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও ওষুধ রপ্তানি করবো। নাভানা ফার্মাসিউটিক্যাল সব সময় মান সম্মত প্রোডাক্ট তৈরি করে যাচ্ছে। ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরে কোম্পানিটি শক্ত অবস্থানে রয়েছে। ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নাভানা কোম্পানি ট্যাক্স পরবর্তী ২০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে।
নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস ৩১ মার্চ ১৯৮৬ সালে গঠিত হয়। কোম্পানিটি মূলত পশুচিকিৎসা এবং মানব স্বাস্থ্য এই দুটি বিভাগের অধীনে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। নাভানা ফার্মা প্রায় ৩০০০ কর্মী নিয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় ১৫টি দেশে পণ্য রপ্তানি করে থাকে।
কোম্পানিটির ২০২০-২১ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, কোম্পানির নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১৭.৯৮ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরে ১৩.১৩ কোটি টাকা ছিল। এ সময়ে কোম্পানিটির আয় ছিল ৩৬০.৬৬ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৩১৪.৯০ কোটি টাকা।
কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২.২৪ টাকা, যা আগের বছরে ছিল ১.৬৪ টাকা। এবং ২১ অর্থবছরে এ এর শেয়ার প্রতি নিট সম্পদের মূল্য ছিল ৪০.৯ টাকা।
কোম্পানিটির কারখানা নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপসী, রূপগঞ্জ, অবস্থিত। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনারস ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং ইবিএল ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।