করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ইস্যুতে আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এই বিধিনিষেধে শেয়ারবাজারে লেনদেন হবে কিনা এ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। তবে বিধিনিষেধে পুঁজিবাজারে লেনদেন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)
বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকের লেনদেন চালু থাকলে সংক্রমণ যতই বাড়ুক পুঁজিবাজারের লেনদেন চলবে। তবে, বাংলাদেশ ব্যাংক যদি ব্যাংকিং সময়সীমা পুনঃনির্ধারণ করে তাহলে পুঁজিবাজারের লেনদেনের সময়সীমাও সে অনুযায়ী পুনঃ নির্ধারণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, গত বছরের এপ্রিলে লকডাউন ও জুলাইয়ে শাটডাউনের মধ্যে ব্যাংকের সময়সীমার সঙ্গে সমন্বয় করে যেভাবে লেনদেন চলেছিল, সেভাবেই এবারও লেনদেন চলবে। কোনোভাবেই লেনদেন বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তিনি বলেন, লেনদেন চললেও সরকার ঘোষিত সব ধরনের সচেতনমূলক নির্দেশনা মেনেই পুঁজিবাজারে লেনদেন করা হবে। এক্ষেত্রে করোনা মহামারির নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রম থেকে বিনিয়োগকারীদের রক্ষা করতে হলে প্রথমে তাদের (বিনিয়োগকারীদের) সচেতন হতে হবে। সংক্রমন বাড়লে ট্রেডিং হাউজ বা ব্রোকারেজ হাউজে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, লকডাউন ও শাটডাউনের সময় ব্রোকারেজ হাউজে না গিয়ে ঘরে বসেই অনলাইনে বা ফোনেই শেয়ার কেনাবেচার অর্ডার দিতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা।
তবে সংক্ষিপ্ত সময়ে বেশি অর্ডারের লোড নিতে গিয়ে প্রায়ই ট্রেডিং সিস্টেমে গোলযোগ দেখা দেয়, নানা সময় বন্ধ থাকে লেনদেন। এ বিষয়ে কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ আশ্বাস দিয়েছেন, এবার আর সেই সমস্যা হবে না। আমাদের অনলাইন ট্রেডিং সিস্টেম আগের তুলনায় আপডেট করা হয়েছে।
এর আগে ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণের পর সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলে ৬৬ দিন পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকে। তবে আলোচ্য সময়ে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকে। ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউনের ঘোষণা আসার পর বিএসইসি জানায়, ব্যাংক চললে পুঁজিবাজারও চলবে।