পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুরোর মধ্যে ৬৯টি সোমবার চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধের (২০২১ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ৪০টির মুনাফা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সব থেকে বড় চমক দেখিয়েছে ফরচুন সুজ। প্রতিষ্ঠানটির মুনাফায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২২০ শতাংশ। অর্থাৎ চলমান হিসাব বছরের প্রথমার্ধের ব্যবসায় ফরচুন সুজ শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ২ টাকা ৮ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬৫ পয়সা।
২০৯ শতাংশ মুনাফা বাড়ার মাধ্যমে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। এই প্রতিষ্ঠনটি চলমান হিসাব বছরের প্রথমার্ধে শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৬৩ পয়সা। আগের হিসাব বছরের প্রথমার্ধে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারপ্রতি ৫৮ পয়সা লোকসান করে।
মুনাফার প্রবৃদ্ধিতে তৃতীয় স্থানে থাকা আরডি ফুড চলমান হিসাব বছরের প্রথমার্ধে মুনাফা করেছে ৭৭ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ৩১ পয়সা। অর্থাৎ মুনাফায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪৮ শতাংশ।
একশো শতাংশের বেশি মুনাফা করা বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সোনারগাঁও টেক্সটাইলের শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২০ পয়সা। আগের বছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ৮৭ পয়সা লোকসান করে। এ হিসাবে মুনাফায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২৩ শতাংশ।
সায়হাম টেক্সটাইলের মুনাফায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১৯ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ৩২ পয়সা থেকে বেড়ে ৭০ পয়সা হয়েছে। শেয়ারপ্রতি এক টাকা ৭৩ পয়সা লোকসান থেকে বেরিয়ে প্রাইম টেক্সটাইল শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৩০ পয়সায়। এতে মুনাফায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১৭ শতাংশ।
শাশা ডেনিমসের মুনাফায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১২ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ৪৩ পয়সা থেকে বেড়ে ৯১ পয়সা হয়েছে। অ্যাপেক্স ট্যানারির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১৬ পয়সা। আগের হিসাব বছরে কোম্পানিটি এক টাকা ৩৩ পয়সা লোকসান করে। অর্থাৎ মুনাফায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১২ শতাংশ।
মুনাফায় ১০৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে গোল্ডেন হার্ভেস্টের। প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৫ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় ৬৩ পয়সা। শেয়ারপ্রতি মুনাফা ২১ পয়সা থেকে বেড়ে ৪৩ পয়সা হয়েছে তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজের। একশো শতাংশের বেশি মুনাফা বাড়ার তালিকায় থাকা আর এক প্রতিষ্ঠান সাফকো স্পিনিং চলমান হিসাব বছরের প্রথমার্ধে শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৪ টাকা।
এসিআইর শেয়ারপ্রতি মুনাফা ২ টাকা ৭৭ পয়সা থেকে বেড়ে ৫ টাকা ৫১ পয়সা হয়েছে। প্রবৃদ্ধি ৯৯ শতাংশ। বিডিকমের মুনাফা ৪৩ পয়সা থেকে বেড়ে ৭৫ পয়সা হয়েছে। আমরা টেকনোলজিসের মুনাফা ৭১ পয়সা থেকে বেড়ে এক টাকা ১৬ পয়সা হয়েছে।
এসিআই ফরমুলেশনের মুনাফা ২ টাকা ৩৬ পয়সা থেকে বেড়ে ৩ টাকা ৭১ পয়সা হয়েছে। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলসের শেয়ারপ্রতি মুনাফা ৪ টাকা ১ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬ টাকা ২৮ পয়সা। প্রবৃদ্ধি ৫৭ শতাংশ। জেনেক্স ইনফোসিসের মুনাফা ১ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২ টাকা ৭৪ পয়সা, প্রবৃদ্ধি ৪৪ শতাংশ।
বসুন্ধরা পেপারের শেয়ারপ্রতি মুনাফা ৭৩ পয়সা থেকে বেড়ে ১ টাকা ৪ পয়সা হয়েছে। হা-ওয়েল টেক্সটাইলের মুনাফায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৪ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে ১ টাকা ৭৪ পয়সা হয়েছে। ফার্মা এইডের শেয়ারপ্রতি মুনাফা ৮ টাকা ৫ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০ টাকা ৬৯ পয়সা।
এছাড়া ইউনাইটেড পাওয়ারের শেয়ারপ্রতি মুনাফা ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে ১১ টাকা ৮৪ পয়সা, কুইন সাউথ টেক্সটাইলের শেয়ারপ্রতি মুনাফা ৪৯ পয়সা থেকে বেড়ে ৬১ পয়সা, নিউ লাইন ক্লোথিংসের ৮৮ পয়সা থেকে বেড়ে ১ টাকা ৯ পয়সা, ওরিয়ন ইনফিউশনের ৭৯ পয়সা থেকে বেড়ে ৯৮ পয়সা, এস্কয়ার নিটের ১ টাকা ১৩ পয়সা থেকে বেড়ে ১ টাকা ৩৭ পয়সা, এইচআর টেক্সটাইলের ৯১ পয়সা থেকে বেড়ে ১ টাকা ৯ পয়সা হয়েছে।
মুনাফায় প্রবৃদ্ধি হওয়া বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বারাকা পাওয়ারের শেয়ারপ্রতি মুনাফা ১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে ১ টাকা ৬৯ পয়সা, ড্যাফোডিল কম্পিউটারের ৩৪ পয়সা থেকে ৩৬ পয়সা, ডিবি অটোকারসের ২৫ পয়সা থেকে ২৬ পয়সা, তিতাস গ্যাসের ১ টাকা ৪৩ পয়সা থেকে ১ টাকা ৪৪ পয়সা এবং ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের ৮৭ পয়সা থেকে ৮৮ পয়সা, শাহজিবাজারের ৩ টাকা ২ পয়সা থেকে ৩ টাকা ৩২ পয়সা, আেইটি কনসালটেন্টসের ৭৮ পয়সা থেকে ৮৪ পয়সা, মবিল যমুনার ৩ টাকা ৬৪ পয়সা থেকে ৩ টাকা ৩৭ পয়সা, কেডিএস এক্সেসরিজের ১ টাকা ১১ পয়সা থেকে ১ টাকা ১৮ পয়সা, কোহিনুর কেমিক্যালের ৪ টাকা ৭৭ পয়সা থেকে বেড়ে ৫ টাকা ৩৭ পয়সা, মেঘনা সিমেন্টের ৮৬ পয়সা থেকে ৯৬ পয়সা, আমান ফিডের ১ টাকা ৬৬ পয়সা থেকে ১ টাকা ৮৫ পয়সা, এনার্জিপ্যাকের ৯২ পয়সা থেকে ১ টাকা ২ পয়সা হয়েছে।