কেয়ারগিভিংয়ে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা ৫০ জনকে সনদপত্র প্রদান করেছে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (NSDA) কর্তৃক অনুমোদিত সিমেক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলোজি। একইসঙ্গে ক্রেস্ট ও কেয়ারগিভিং টুল বক্স পেয়েছে কেয়ারগিভাররা।
গত বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি, ২০২৪) রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত সিমেক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলোজি ভবনের বাহার অডিটোরিয়ামে সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন PKSF- SEIP প্রকল্পের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মোঃ সালেহ উদ্দিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিমেক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ সরদার মোঃ শাহীন, ভাইস চেয়ারম্যান আফসানা খানম, নির্বাহী পরিচালক ফোয়ারা ইয়াছমিন, পরিচালক ডক্টর সঞ্জীব রায় এবং সিমেক ইন্সটিটিউটের প্রিন্সিপাল ইঞ্জিঃ মোঃ আবু মুসা।
সিমেক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির কো-অর্ডিনেশন ম্যানেজার শায়লা জাফরীনের তত্ত্বাবধানে কো-অর্ডিনেশন অফিসার সায়মা শারমিনের সঞ্চালনায় কেয়ারগিভিং কোর্সের সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিমেক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির প্রিন্সিপাল ইঞ্জিঃ মোঃ আবু মুসা। এছাড়াও PKSF- SEIP প্রকল্পের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মোঃ সালেহ উদ্দিন বক্তব্য প্রদান করেন। এরপর বক্তব্য রাখেন সিমেক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির পরিচালক ডক্টর সঞ্জীব রায়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা দেশে বিদেশে কেয়ারগিভিং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন। গত ১ বছরে সরকারী অর্থায়নে প্রায় ২ হাজার কেয়ারগিভারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে জাপান, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ থেকে কেয়ার ভিসায় যাওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। তাই কেয়ারগিভিং পেশায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশের বেকারত্বের সংকট অনেকটাই সমাধান করা সম্ভব বলে মনে করেন বক্তারা।
একজন কেয়ারগিভার বা পরিচর্যাকারী এমন একজন ব্যক্তি যিনি অপারেশন বা অস্ত্রোপচারের পরে যত্নের প্রয়োজন এমন রোগীদের সাথে যান, যারা শয্যাশায়ী, বয়স্ক বা নিজের যত্ন নিতে অক্ষম।
উল্লেখ্য, সিমেক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি সিমেক গ্রুপের একটি শিক্ষামূলক অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান সকলের জন্য দক্ষতামূলক কোর্স পরিচালনা করে থাকে। এছাড়াও এখানে রয়েছে একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা কেন্দ্র।