মন্দা পরিস্থিতির মধ্যে কিছুটা আশার আলো দেখা দিয়েছে পুঁজিবাজারে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বেশ কয়েকটি বিমা কোম্পানি বড় বিনিয়োগের আশ্বাস দিয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই আশ্বাস দেয় কোম্পানিগুলো।
বুধবার বিএসইসির কার্যালয়ে ২৬টি বিমা কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। বৈঠক শেষে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ তথ্য জানান।
২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর একটি নির্দেশনায় ৩০ কোটি টাকার কম পরিশোধিত মূলধন থাকা ২৬টি বিমা কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তর ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেয় বিএসইসি। তবে এ ক্ষেত্রে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে কমপক্ষে ইক্যুইটির ২০ শতাংশ বিনিয়োগের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়।
এসব কোম্পানির বিনিয়োগ পরিস্থিতি তদারকির অংশ হিসেবে বুধবার প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএসইসি। বৈঠক শেষে বিএসইসির মুখপাত্র বলেন, ২৬ বিমা কোম্পানির মধ্যে যেসব কোম্পানি আইপিওতে আবেদন করেছে বা আইপিও অনুমোদন পেয়েছে তাদের প্রত্যেকে ইক্যুইটির ২০ শতাংশ বিনিয়োগ করেছে। বৈঠকে তারা সে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। অন্য যারা এখনো আবেদন করেনি তাদের বিনিয়োগের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তাদেরকে ইক্যুইটির ২০ শতাংশ বিনিয়োগের মাধ্যমে তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করার আহ্বান জানানো হয়।
তিনি বলেন, আইপিও আবেদনের ক্ষেত্রে তারা যদি কোনো ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়, সে বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করলে সহযোগিতা করা হবে। আলোচনায় উঠে এসেছে ইপিএস পজিটিভ থাকলে আইপিও’র জন্য আবেদন করতে পারবে।
মুখপাত্র রেজাউল করিম আরো বলেন, বর্তমানে ওই ২৬ বিমা কোম্পানির যে বিনিয়োগ আছে, সেটা কীভাবে বাড়ানো যায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া আইডিআরএ’র বিনিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে সর্বোচ্চ পরিমাণ বিনিয়োগ বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছে। তারা আশ্বস্ত করেছেন আগামী কয়েকদিন বিনিয়োগ বাড়াবেন।
বৈঠকে ফ্লোর প্রাইস নিয়ে আলোচনা হয় জানিয়ে বিএসইসির মুখপাত্র বলেন, সভাই কেউ কেউ ফ্লোর প্রাইস নিয়ে কথা বলেছেন। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে স্বল্প সময়ের জন্য এটা দেয়া হয়েছে। বাজার একটা আপার ট্রেনে আসলে কমিশন এটা বিবেচনা করবে।